আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত শ্রীপুর এরিয়ার কালিপাহাড়ি অঞ্চলে ফের উত্তাল পরিবেশ। সোমবার সকাল থেকে এলাকায় অবৈধ কয়লা খাদানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন চলছে এই অঞ্চলে। ফলে প্রায়ই ধস নেমে বাড়িঘরে দেখা দিচ্ছে ফাটল। যার জেরে বহু পরিবারকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে কাছের স্কুল, ক্লাব বা কোলিয়ারির পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্রীপুর এরিয়ার কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর এই অবৈধ কাজের দিকে নজর দেয় না, বরং চোখ বন্ধ করে রেখেছে। এলাকার শিব মন্দির, রুটিবাটি, পঞ্চবটি-সহ আশেপাশের একাধিক জায়গায় আগেও একাধিকবার ধস হয়েছে। প্রতিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু পরিবার। কিন্তু কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সোমবার ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কোলিয়ারি এজেন্ট অফিস লাগোয়া এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়ে অবৈধ কয়লা উত্তোলনকারী শ্রমিক ও মাফিয়াদের তাড়িয়ে দেন। তাঁরা সরাসরি সেই জায়গায় গিয়ে সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ষার পরে ফের নতুন করে অবৈধ কয়লা তোলার জন্য ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে শ্রমিক এনে কাজে নামিয়েছিল মাফিয়ারা। কিন্তু গ্রামবাসীদের একজোট আন্দোলনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

কালিপাহাড়ি অঞ্চলের মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার দূরেই রয়েছে হাওড়া–নিউ দিল্লি মেন রেললাইন। ফলে এখানে ধস নামলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। তবুও কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।
গ্রামবাসীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের আশ্রয়স্থল বাঁচাতে লড়াই চালিয়ে যাব। কোনওভাবেই আর অবৈধ কয়লা খনন করতে দেব না।”
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন ও কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ এই আন্দোলনের পর কী ভূমিকা নেয় এবং কালিপাহাড়ি ও শ্রীপুর এলাকার কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।