আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘায় বড়দিন ও বর্ষবরণ উপলক্ষে প্রায় দুই লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হতে চলেছে। হোটেলিয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, "পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উৎসবের মরসুমে পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।" এই বিপুল ভিড় সামাল দিতে ও যানজট মুক্ত রাখতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।

সোমবার তমলুকের নিমতৌড়ি পুলিশ লাইনের কনফারেন্স রুমে  পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে বলেন, বড়দিন ও বর্ষবরণে দিঘায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তা কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস জানান, ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর এবং ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর দিঘার প্রবেশদ্বার দিয়ে কোনও টোটো ঢুকতে পারবে না। পর্যটকবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহন বাইপাস পথ ব্যবহার করবে। দিঘায় মোট সাতটি নির্দিষ্ট পার্কিং পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানেই পর্যটকদের গাড়ি রাখতে হবে। এছাড়াও উৎসবের দিনগুলিতে যাতে কোনও অশান্তি না ঘটে, সেদিকে বিশেষ নজর রাখবে পুলিশ। সমুদ্র স্নানের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে স্পিডবোট ও ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালানো হবে।

এবার ঝাউবন ও সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি নতুন আকর্ষণ জগন্নাথধাম যুক্ত হওয়ায় পিকনিক ও দর্শনার্থীদের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে সৈকত শহর দিঘায়। সেই কারণেই আগাম সতর্কতায় কঠোর নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থার রূপরেখা তৈরি করল জেলা পুলিশ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বড়দিন ও বর্ষবরণের জন্য দিঘায় হোটেল ও রিসর্টগুলিতে ঘর বুকিং প্রায় শেষ। হোটেলের রিসেপশনে ঘনঘন বেজে উঠছে ফোন। ঘর আছে কি না বা থাকলেও সেটা থেকে সমুদ্র দেখা যাবে কি না এবং ঘরের ভাড়া কত তার খোঁজ চলছে জোরকদমে। বহু হোটেলের তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে 'ঘর নেই'। যা শুনে বারবার অনুরোধ আসছে কোনোভাবে একটা বা দুটো ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া যাবে কি না।