আজকাল ওয়েবডেস্ক: বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসেও একবারের জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গেলেন না বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায়। শুনলেন না সাধারন মানুষের কথা। এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ দেখালেন জলপাইগুড়ির বন্যা দুর্গতরা।

 

বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি ব্লকের কুর্শামারি গ্রাম বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সফর শেষে বন্যা দুর্গতদের বিক্ষোভে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল। এদিন ত্রাণ শিবিরে এসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন শুভেন্দু। কিন্তু তাঁর সফর শেষ হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বন্যা কবলিত এলাকার বহু বাসিন্দা। অভিযোগ,তাঁদের কথা বলার সুযোগই দেননি বিরোধী দলনেতা। স্থানীয়দের দাবি,তাঁরা ত্রাণ নিতে আসেননি,বরং নিজেদের সমস্যার কথা সরাসরি জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী সংক্ষিপ্ত সময় এখানে থেকেই ফিরে যান। হোগলাপাতা এলাকার এক ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমরা ত্রাণ নিতে আসিনি। আমরা এসেছিলাম আমাদের দুর্দশার কথা বলতে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনল না।বিক্ষোভকারীরা আরও অভিযোগ করেন,বিরোধী দলনেতা ত্রাণ শিবিরে এলেও আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বা নদীবাঁধ পরিদর্শন করেননি। এর জেরে স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দেয়।

 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ধূপগুড়ি ব্লকের একাধিক গ্রাম ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু পরিবার এখনও অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রিত। জানা গিয়েছে, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সফর ঘিরে এলাকায় প্রত্যাশা ছিল প্রবল। অনেকেই মুখিয়ে ছিলেন নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা তাঁকে বলার জন্য। কিন্তু তাঁর সংক্ষিপ্ত সফরের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দুর্গত গ্রামবাসীরা। দৃশ্যত হতাশ স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি যদি সমস্যার কথা নাই জানবেন তাহলে এসেছিলেন কী করতে? 

 

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর ধূপগুড়ির সফরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃনমুল নেতা রাজেশ কুমার সিং বলেন, ঝান্ডা লাগিয়ে মঞ্চ বানিয়ে কী করতে এসেছেন? এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়। রাজনীতি করার অনেক সময় পাওয়া যাবে। বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে। এদিন ধূপগুড়ির মানুষ আরো একবার বুঝিয়ে দিলেন।

আরও পড়ুন: ক্লাস ফাঁকি কেন? প্রশ্ন করতেই সাংবাদিককে চপ্পলপেটা শিক্ষিকার, ঘটনা ঘিরে তুমুল শোরগোল

এই ঘটনায় বিজেপি পশ্চিম মন্ডল সভাপতি পলাশ বসাক বলেন,বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বর্ন্যা দুর্গত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছেন।শাসক দলের প্ররোচনায় কয়েকজন এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন এবং পরে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।