আজকাল ওয়েবডেস্ক: রামকৃষ্ণ মঠ সেবাশ্রমে কুড়ি দিন সেবামূলক কাজ করতে হবে। এমন ব্যতিক্রমী শর্তে জামিন অনলাইন জুয়াড়ীদের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর তমলুকের জেলা আদালতে। বিচারকের এই রায়ে খুশি সরকারি আইনজীবী এবং ধৃতদের আইনজীবীও।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর তমলুক থানা আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ একটি বিশ্বস্ত সূত্র মারফত জানতে পেরে ওই জুয়ার ঠেকে হানা দেয়। তমলুক থানার পুলিশ সেখানেই হাতেনাতে ধরে ফেলে সুধীর শেঠ, হরিপদ মন্ডল, রবি রাউত, মুর্শেদ মল্লিক ও সেক আশিক আলিকে। গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে কোর্টে পাঠায় তমলুক থানার পুলিশ। এর পরেই বিচারক বিচারক দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে তিন শর্তে জামিন দেয় ধৃতদের।
ধৃতদের তমলুক সিজিএম কোর্টে তোলা হলে বিচারক অভীককুমার চট্টোপাধ্যায় তিনটি শর্তে তাদের জামিন দেন। প্রথমত, কোর্টের নির্দেশ ছাড়া বাইরে কোথাও যাওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে। প্রথম দুটো শর্ত খুব সাধারণ হলেও, তৃতীয় শর্তটি একেবারে ব্যতিক্রমী। কুড়ি দিন সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তমলুক রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সেবাশ্রমে সেবামূলক কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশের কপি রামকৃষ্ণ মিশনে পাঠানো হয়েছে। সেখানে প্রত্যেকদিন পাঁচজনে হাজিরা খাতা রেখে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করতে হবে, তারপরে ছুটির সময় রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষের কাছ থেকে সই করে হাজিরা খাতাটা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। জেলা আদালতের এমন ব্যতিক্রমী শর্তে জামিনের রায়ে খুশি সরকারি আইনজীবী ও ধৃতদের আইনজীবী। অভিনব এই নির্দেশকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
