আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীপাবলির রাতে দেদার শব্দবাজির দাপট। বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের কাকার বাড়িতে বাজি থেকেই লাগলো আগুন। সেই আগুন নেভাতে রাতেই ছুটে এলেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। সেই বাড়ি আগুনে ভষ্মীভূত হওয়ার পর পৌঁছলো পুলিশ। 

 

ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুলে। বিজেপির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষের কাকার বাড়িতে বাজি থেকে আগুন লাগে। নিমেষের মধ্যে ভষ্মীভূত হয়ে যায় মাটির বাড়িটি। স্থানীয় লোকজন শুরুতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়েই ছুটে আসেন এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ আগুন নেভানোর কাজ করেন। পরে খানাকুল থানার পুলিশ ও বিধায়ক এলাকায় গিয়ে পৌঁছন। 

 

গতকাল রাতে খানাকুলের রাজহাটি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশালীর বেনাপুকুর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়িটি আংশিকভাবে ভষ্মীভূত হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন দু'ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালীপুজো উপলক্ষে স্থানীয় কিছু শিশু বাজি ফাটাচ্ছিল। সেখান থেকেই ওই মাটির বাড়িতে আগুন লাগে। 

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার কবলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হেলিকপ্টার, অবতরণের সময়েই নতুন হেলিপ্যাডে ভাঙন, বড় বিপত্তি কেরল সফরে

বাড়ি ভস্মীভূত হচ্ছে, সেই আগুন দেখেই দু'জনের প্যানিক অ্যাটাক হয়। তাঁদের খানাকুল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় খানাকুল থানার পুলিশ। তবে স্থানীয়দের তৎপরতাতেই পাশাপাশি থাকা বেশ কিছু ঝুপড়িতে আগুন লাগেনি। বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছেন বহু মানুষ। তবে প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে রমরমিয়ে চলছে বাজির কারবার?

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়দেব সাঁতরা নামের এক ব্যক্তির বাড়িটিই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছে। বিজেপির খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মিঠুন সাঁতরার কাকা তিনি। ওই বাড়ির কাছেই কালীপুজোর রাতে বাজি ফাটাচ্ছিল একদল শিশু। সেই বাজি থেকেই আগুন ছিটকে পড়ে বাড়িতে। 

 

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তৃণমূলের খানাকুল ২ সমিতির তৃণমূল সদস্য নূর নবী মণ্ডল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। জানা গেছে, এই ঘটনায় আরও দু'জন আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে খানাকুল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।