আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের কোচবিহারে বিমান চলাচল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এবার আর ৯ আসনের ছোট বিমান নয়, ৪২ আসনের বিমান চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। নয়ডা-ভিত্তিক বিমান সংস্থা ‘জেট উইংস’-এর সঙ্গে কোচবিহার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের ডিরেক্টর শুভাশিস পাল। এই খবরে কোচবিহার ও আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।
উল্লেখ্য, এতদিন কেন্দ্রীয় সরকারের ‘উড়ান’ প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি পেয়ে ‘ইন্ডিয়া ওয়ান এয়ার’ কোচবিহার-কলকাতা রুটে ফ্লাইট চালাচ্ছিল। তবে সূত্রের খবর, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে নিয়মিত বিমান পরিষেবা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতেই টিমটিম করে আশার আলো দেখাচ্ছে জেট উইংস। সংস্থাটি কোচবিহার থেকে বিমান চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং খুব শিগগিরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, জেট উইংস কর্তৃপক্ষ কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ে, পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত দিকগুলি খতিয়ে দেখতে চান। সব কিছু অনুকূল থাকলে আগামী বছর মে-জুন মাস নাগাদ পরিষেবা চালু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। সংস্থাটি কোচবিহার থেকে এটিআর-৪২ ধরনের ৪২ আসনের বিমান চালানোর পরিকল্পনা করছে। তবে বিষয়টি এখনও একেবারে প্রাথমিক স্তরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের ডিরেক্টর শুভাশিস পাল। তিনি বলেন, “জেট উইংস-এর হাতে এখনও ৪২ আসনের বিমান নেই। তারা সেই বিমান লিজে নেওয়ার কথা ভাবছে। আমরা তাদের মেল করে জানতে চেয়েছি, কবে তারা এসে বিমানবন্দরের সমস্ত পরিকাঠামো খতিয়ে দেখবে।” ডিরেক্টরের কথায়, আপাতত আশার আলো দেখা গেলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
জানা গিয়েছে, জেট উইংস উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রুটেও ফ্লাইট চালাতে আগ্রহী। যদিও এখনও পর্যন্ত সেখানে কোনও পরিষেবা চালু হয়নি। সংস্থার হাতে বর্তমানে কতগুলি বিমান রয়েছে, সে বিষয়েও স্পষ্ট তথ্য মেলেনি।
প্রসঙ্গত, কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য মাত্র ১,০৭০ মিটার। এই তুলনামূলক ছোট রানওয়ে হওয়ায় ৪২ আসনের বিমান নামানো গেলেও পুরো আসন ভর্তি যাত্রী ও লাগেজ নিয়ে উড়ান সম্ভব নয়। বিমান চলাচলের ভাষায় একে ‘লোড ফ্যাক্টর’ বলা হয়। বাস্তবে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২২ জন যাত্রী নিয়েই বিমান চলাচল করতে পারবে, তাও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে। তবুও, কোচবিহারে ফের বড় বিমানের পরিষেবা চালুর সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় খুশি স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।
