আজকাল ওয়েবডেস্ক: পদত্যাগ করলেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। অনাস্থা প্রস্তাবে কাউন্সিলররা হাজির হয়ে ভোটাভুটির কয়েক ঘন্টা আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি । প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে ডামাডোল চলছিল বনগাঁ পুরসভায়।

জানা গিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে পদত্যাগের চিঠি পাঠানো হয়েছিল। পদত্যাগ না করায় বনগাঁ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে তাঁকে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়। এরপরেই গোপাল শেঠ বনগাঁ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্যকে অপসারণের চিঠি দিয়ে অসুস্থতার কারণ জানিয়ে দায়িত্বভার তুলে দিয়েছেন বনগাঁ পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরজিৎ দাসের হাতে। পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সুরেশ চন্দ্র হীরা নিয়মের জটিলতার কারণে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে দেননি সুরজিৎকে। এরপরই অনাস্থার আবেদন জানান ৯ জন কাউন্সিলর৷ বৈঠক চলাকালীন ৬ জন কাউন্সিলার অনাস্থা পেপারে সই না করে বৈঠক ছেড়ে চলে যান। তাঁরা ক্ষোভ দেখান। তার পরেই সেই ৬ কাউন্সিলরের বাড়িতে গভীর রাতে হামলার অভিযোগ ওঠে। 

'গোবলা বাবু' অসুস্থতার কারণ জানিয়ে ছুটিতে চলে গিয়েছিলেন৷ ভাইস চেয়ারম্যান না থাকায় অনাস্থার ১৫ দিন পার হলে তিনজন কাউন্সিলার বসে দিন কয়েক আগে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন বুধবার অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটির৷ এদিন সেই ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই পদত্যাগ করলেন গোপাল শেঠ ৷ 

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা ৷ তৃণমূলের বনগাঁ জেলা পার্টি অফিস থেকে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে বনগাঁ শহরে মিছিল করলেন অনাস্থায় আনা কাউন্সিলররা ৷

এর পরেই কাউন্সিলারা পুরসভায় মিটিংয়ে যোগদান করেন৷ এখন বনগাঁর মানুষের অপেক্ষা কে চেয়ারম্যান হবেন তা জানার ৷ যদিও এ বিষয়ে গোপাল বাবুর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।