ফুসফুসের স্বাস্থ্য শুধুমাত্র ধূমপান ও পরিবেশ দূষণের ওপর নির্ভর করে না। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসও ফুসফুসকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সাধারণ খাবার ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। এমনকী যার ফলে শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। তাহলে কোন কোন নিয়মিত খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, জেনে নিন-
১. প্রসেসড মাংসঃ বেকন, সালামি, কোল্ড কাট –এই ধরনের প্রসেসড মাংসে নাইট্রেট এবং কৃত্রিম সংরক্ষক থাকে। এসব উপাদান শ্বাসনালীর প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং ফুসফুসের রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
২. অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবারঃ বেশি সোডিয়াম শরীরে তরল ধরে রাখে এবং ফুসফুসের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
৩. সোডা ও অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবারঃ অতিরিক্ত চিনি বা সোডা খেলে শর্করা বাড়ে যা প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং ফুসফুসে অক্সিজেন শোষণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
৪. ভাজা খাবারঃ ভাজা খাবারে প্রচুর অস্বাস্থ্যকর তেল ও ট্রান্স ফ্যাট থাকে। এগুলো শ্বাসনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।
৫. দুগ্ধজাত খাবারঃ দুধ, পনির, দই ইত্যাদি কিছু খাবার অনেকের মিউকাস উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এই মিউকাস জমে গেলে শ্বাসনালীতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
৬. সালফাইট যুক্ত খাবারঃ শুকনো ফল, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারে সালফাইট থাকে। যারা অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত, তারা এগুলো খেলে সমস্যায় পড়তে পারেন।
৭. সালিসিলেট সমৃদ্ধ খাবারঃ সালিসিলেট হল প্রাকৃতিক যৌগ যা অনেক ফল, সবজি, মশলা, চা ও কফিতে থাকে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এগুলো শ্বাসনালীর প্রতিক্রিয়া বাড়াতে পারে এবং অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ায়।

ফুসফুস ভাল রাখতে কী কী করা উচিত
*এই ধরনের খাবারের পরিমাণ সীমিত করুন বা প্রয়োজনে সম্পূর্ণ বাদ দিন।
*বেশি করে টাটকা ফল, সবজি, গোটা শস্য ও উদ্ভিজ্জভিত্তিক খাবার খান।
*পর্যাপ্ত জল পান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন যা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
*অ্যাজমা বা অন্যান্য শ্বাসকষ্টের রোগে আক্রান্তদের অবশ্যই ডাক্তার পরামর্শ মতো ডায়েট মেনে চলা উচিত।
