ঠান্ডা লাগলে সর্দি, কফি হওয়া স্বাভাবিক। নাক দিয়ে বেরনো সর্দি শুধু বিরক্তির কারণ নয়, শরীরের ভেতরের নানা অসুখের গোপন বার্তাও লুকিয়ে রাখে। সংক্রমণের মাত্রা কতটা গুরুতর, তা বলে দিতে পারে কফের রং। যদিও শ্লেষ্মা মাত্রেই ক্ষতিকর নয়। তবে কফের রং বদলে গেলেই মুশকিল। চিকিৎসকদের মতে, আপনার শ্লেষ্মার রঙেই লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

*স্বচ্ছ কফঃ সাধারণত সাদা স্বচ্ছ সর্দি বা কফ হলে চিন্তার কিছু নেই। এটি হালকা অ্যালার্জির লক্ষণ হতে পারে।

*হলুদ বা সবুজঃ কফের রং হলুদ কিংবা সবুজ হলে বুঝবেন শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ছে। কিন্তু এটি ১০ দিনের বেশি চললে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ নিশ্চিত হতে পারে।বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা বাড়লে সাধারণত হলুদ রং হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ শুধু ঝাল নয়, পুষ্টির খনি কাঁচা লঙ্কা! ঠিক কোন কোন কারণে রাখবেন পাতে জেনে নিন

*লাল বা গোলাপিঃ নাকে রক্ত মিশলে অনেক সময়ে সর্দি লাল বা গোলাপি হতে পারে। শুষ্ক বাতাস বা অতিরিক্ত ঘষাঘষির ফলে এমনটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার ফুসফুসে এক ধরনের তরল জমা হলে কফের রং গোলাপি হতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘এডিমা’। 

*বাদামিঃ ধুলো, ধোঁয়া বা পুরনো রক্তের ছাপ-এই বাদামি কফের কারণ হতে পারে। ধূমপায়ীদের জন্য এটি বাড়তি সতর্কবার্তা।মূলত দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে ফুসফুসের পরিবর্তন হয়। ব্রঙ্কাইটিস হওয়ারও একটা আশঙ্কা থাকে।

*কালোঃ কফের এই রং সবচেয়ে ভয়ঙ্কর! ফাঙ্গাল সংক্রমণ বা মারাত্মক দূষণের প্রভাবে হতে পারে। অবহেলা করলে বিপদ বাড়বে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন, যদি কফের রং দীর্ঘদিন অস্বাভাবিক থাকে এবং সঙ্গে জ্বর, মাথা ব্যথা, মুখ ফোলা বা নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।