আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসন্ন এশিয়া কাপে সঞ্জু স্যামসনকে ওপেনার হিসেবে খেলানো হোক। টিম ম্যানেজমেন্টকে এমনটাই পরামর্শ দিলেন ভারতের প্রাক্তন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। তিনি মনে করেন, সহ-অধিনায়ক শুভমান গিলকে অন্য ব্যাটিং পজিশনে খেলানো উচিত। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ যা এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হচ্ছে। সেখানে ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারত। ২০২৪ সাল থেকে ওপেনার হিসেবে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন সঞ্জু স্যামসন। ৪১টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৮৬১ রান করেছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে মাত্র ১২ ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি। স্ট্রাইক রেট ১৫২.৩৮। তবে ওপেনিংয়ের বাইরে অন্য পজিশনে ব্যাট করতে নেমে তাঁর পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্যভাবে নেমে যায়—নয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান মাত্র ২৯। অন্যদিকে, এক বছরেরও বেশি সময় পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন টেস্ট অধিনায়ক শুভমান গিল।

ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি অভিষেক শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামবেন, নাকি অন্য কোনও ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। শাস্ত্রী স্পষ্ট জানালেন, ‘স্যামসন সবচেয়ে ভয়ংকর ওপরে, টপ-থ্রিতে। ওখানেই সে ম্যাচ জেতায়। ওকে সেখানেই রাখা উচিত। শুভমানের জন্য জায়গা করতে গিয়ে স্যামসনকে নামানো সহজ হবে না। ওর রেকর্ড একেবারে শক্তিশালী ওপরে। গিলও ওকে সরানো কঠিন মনে করবে। গিল অন্য কারও জায়গায় আসতে পারে, কিন্তু স্যামসনকে ওপেনার হিসেবেই খেলতে দেওয়া উচিত।’ প্রাক্তন কোচ আরও যোগ করেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে ওপরে স্যামসন ধারাবাহিকভাবে রান করেছে, সেঞ্চুরি করেছে। তাই ওকে আগের মতোই খেলে যেতে দেওয়া উচিত।’ বোলিং বিভাগের প্রসঙ্গ টেনে শাস্ত্রী বলেন, দুবাইয়ের আবহাওয়া এবং গরমের কারণে এশিয়া কাপে স্পিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

তাঁর কথায়, ‘স্পিনই হবে এই টুর্নামেন্টের আসল ট্রাম্প কার্ড। আফগানিস্তানের মতো দল চারজন স্পিনার খেলাতে পারে। কারও দলে দু’জন, কারও দলে তিনজন থাকতে পারে, ব্যালেন্সের উপর নির্ভর করছে। তবে দুবাইয়ে স্পিনারদের চাহিদা প্রবল থাকবে। ফিঙ্গার স্পিনার এবং রিস্ট স্পিনার দুটোই লাগবে। ভারতের সেই সুযোগ আছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সব স্পিনারকেই কাজে লাগাতে হবে।’ এশিয়া কাপের জন্য যে ভারতীয় দল ঘোষণা করা হয়েছে, সেই দলে রাখা হয়নি শ্রেয়সকে। দলে তিনি সুযোগ না পাওয়ায় বিতর্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। হতবাক হয়েছেন অনেকেই। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসিত আলিও। ১৫ জনের দলে জায়গা পাননি শ্রেয়স। এমনকী ২০ জনের দলেও নেই পাঞ্জাব কিংসের নেতা।

অর্থাৎ, রিজার্ভ দলেও তাঁকে রাখার প্রয়োজনীয়তা মনে করা হয়নি। যা দেখে রীতিমতো অবাক বাসিতও। তিনি বলেছেন, ‘শ্রেয়স আইয়ার, যশস্বী জয়সওয়াল, মহম্মদ সিরাজ ও মহম্মদ সামি যদি পাকিস্তানের খেলোয়াড় হত, তাহলে ওরা এ ক্যাটেগরিতে জায়গা পেত।’ এশিয়া কাপের দল ঘোষণা হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করেই। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই নির্বাচকরা এশিয়া কাপের দল বেছে নেয়। শ্রেয়সের বাদ পড়া অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। যার মধ্যে অন্যতম টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার। দল ঘোষণার পর তারকা ক্রিকেটারের বাদ পড়া নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে অজিত আগরকর বলেন, ‘শ্রেয়সের কোনও দোষ নেই, আমাদেরও না। আমরা মাত্র ১৫ জনকে বেছে নিতে পারব। তাই ওকে সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে।’