বুধবার ১৫ অক্টোবর ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

কলকাতা | সাপের কামড়ে পক্ষাঘাত হওয়ার পরিস্থিতি! উন্নত চিকিৎসায় ন’বছরের নাবালককে সুস্থ করল কলকাতার হাসপাতাল

Reporter: গোপাল সাহা | লেখক: কৌশিক রয় ২৯ আগস্ট ২০২৫ ১৯ : ৪৩Kaushik Roy

আজকাল ওয়েবডেস্ক: আবারও প্রমাণিত হল চিকিৎসা বিজ্ঞানে শহর কলকাতা অন্যান্য রাজ্যের থেকে এক ধাপ এগিয়ে। আর এই শহর কলকাতাতেই অসাধ্য সাধন হল। মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এলো নাবালক। জানা গিয়েছে, নদিয়া জেলার বেথুয়াডহরি এলাকার বাসিন্দা ৯ বছরের এক নাবালক রাতে শৌচকর্মের জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে আসার পর থেকেই তাঁর পেটে প্রবল ব্যথা শুরু হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ওই এলাকায় সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটায়, চিকিৎসকরা প্রথমেই সাপের কামড়ের আশঙ্কা করেন। নাবালকের পরিবার জানায়, ছেলেটির চোখের পাতা ঝুলে পড়া এবং শরীর ঢিলে হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।

ফলে ধীরে ধীরে সে আরও দুর্বল হয়ে পরে। তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক পরীক্ষায় সাপের কামড়ের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অ্যান্টিভেনম (সাপের বিষের প্রতিষেধক) দেওয়া হয়, কিন্তু অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই নাবালককে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। কিন্তু ভর্তি হওয়ার মত পরিস্থিতি এবং বেড না পাওয়ার কারণে একাধিক হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন ছেলেটির শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে, এবং তাঁর শ্বাসতন্ত্রের পেশিগুলি প্যারালাইজড হয়ে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন পিয়ারলেস হাসপাতালে চিকিৎসকরা।

এরপর তাঁকে তৎক্ষণাৎ পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা শুরু করা হয় এবং ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়া শুরু হয়। নাবালককে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর চিকিৎসক সংযুক্তা দে-এর অধীনে। জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের শরীরে দুটি ক্ষুদ্র সাপের কামড়ের চিহ্ন পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী এটি একটি নিউরোটক্সিক সাপের কামড়, যা একসঙ্গে মায়োটক্সিসিটি-ও সৃষ্টি করে — অর্থাৎ এটি নার্ভ ও মাংসপেশি উভয়কেই আক্রান্ত করে। এই ধরণের সাপের কামড়ে পুরো শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে এবং এটি জীবননাশক হতে পারে বলে জানান, চিকিৎসক সংযুক্তা দে। শুধু তাই নয়, ছেলেটির রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাঁকে রক্ত ও অন্যান্য উপাদান ট্রান্সফিউশন করতে হয়।

দেখে নেওয়া যাক নিউরোটক্সিক সাপের কি কি ধরন এবং এ ধরনের সাপ কামড়ালে কি কি হতে পারে, উপসর্গ ও তার চিকিৎসা : 

স্নায়ুবিষাক্ত সাপের কামড় (Neurotoxic Snakebite) স্নায়ুবিষাক্ত সাপের বিষে উপস্থিত নিউরোটক্সিন স্নায়ুর সংকেত প্রেরণ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এর ফলে পেশীর দুর্বলতা, পক্ষাঘাত (paralysis), এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত এই বিষ স্নায়ু ও পেশীর সংযোগস্থলে (neuromuscular junction) কাজ করে এবং স্নায়ু থেকে পেশীতে সংকেত পৌঁছানো ব্যাহত করে।

স্নায়ুবিষাক্ত সাপের উদাহরণ: কোবরা, ক্রাইট, মাম্বা, কোরাল স্নেক, কিং কোবরা এবং সমুদ্র সাপ—যেগুলো সবাই Elapidae পরিবারভুক্ত।

কীভাবে স্নায়ুবিষ কাজ করে?

* স্নায়ু সংকেতের বাধা (Nerve Impulse Blockade):
বিষ স্নায়ু ও পেশীর মধ্যে স্বাভাবিক সংকেত আদানপ্রদান নষ্ট করে দেয়।

* পেশীর পক্ষাঘাত (Muscle Paralysis):
এই বিঘ্নের কারণে পেশীর নিয়ন্ত্রণ হারাতে হয়, যার ফলে দেখা দেয় -

* চোখের পাতার ঝুলে পড়া (Ptosis)

* পেশীর দুর্বলতা।

* ডায়াফ্রাম পক্ষাঘাত, ফলে শ্বাসকষ্ট ও শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া

* হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়া

স্নায়ুবিষাক্ত সাপের ধরন:

১. কোবরা (Cobra): কিং কোবরা-সহ বিভিন্ন কোবরা প্রজাতি নিউরোটক্সিক বিষের জন্য পরিচিত।

২. ক্রাইট (Krait): বিশেষ করে কমন ক্রাইট ভারতীয় উপমহাদেশে নিউরোটক্সিক কামড়ের অন্যতম প্রধান কারণ।

২. মাম্বা (Mamba): কালো মাম্বার মতো প্রজাতির সাপের বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী, যা একদিকে স্নায়ুবিষাক্ত আবার হৃদবিষাক্ত (cardiotoxic) প্রভাবও রাখে।

৩. কোরাল স্নেক (Coral Snake): আমেরিকায় পাওয়া যায়, এবং এদের বিষ নিউরোটক্সিক।

৪. সামুদ্রিক সাপ (Sea Snake): বেশিরভাগ সমুদ্র সাপও নিউরোটক্সিক বিষ বহন করে।

স্নায়ুবিষাক্ত সাপের কামড়ের উপসর্গ

প্রাথমিক লক্ষণ:

* পেশীর দুর্বলতা

* সার্বিক দুর্বলতা

* কথা বলতে ও গিলতে অসুবিধা

অগ্রগতি:

* চোখের পাতার ঝুলে পড়া (Ptosis)

* ধীরে ধীরে পুরো শরীরে পক্ষাঘাত ছড়িয়ে পড়া

গুরুতর পরিণতি:

১. শ্বাস-প্রশ্বাসের পেশী অকেজো হয়ে শ্বাসরোধ হওয়া

২. হৃদযন্ত্রের পক্ষাঘাত

৩. অবশেষে মৃত্যু

 জরুরি চিকিৎসা : 

স্নায়ুবিষাক্ত সাপের কামড় একটি জরুরি চিকিৎসাগত অবস্থা। দ্রুত অ্যান্টিভেনম (Antivenom) প্রয়োগের মাধ্যমে বিষের প্রভাব প্রতিহত করতে হবে, নইলে প্রাণঘাতী পক্ষাঘাত (life-threatening paralysis) ঘটতে পারে। আজকাল ডট ইনের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসক সংযুক্তা দে বলেন, ‘চিকিৎসা চলাকালীন তাঁকে আবার অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয় এবং শরীরের পেশির শক্তি ফিরিয়ে আনতে অ্যাট্রোপিন ও নিওস্টিগমিন ওষুধের সংমিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।’ ‘অবশেষে, এক অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে ছেলেটি ভেন্টিলেটর থেকে নিজে নিজেই শ্বাস নিতে শুরু করে — যা এই ধরনের নিউরোটক্সিক সাপের কামড়ে বিরল একটি ঘটনা।’ এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তবে এখনও বলা যাচ্ছে না যে সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছে, তবে বিপদের আশঙ্কা থেকে কাটিয়ে উঠেছে এই নাবালক। কিছুটা পথ এখনও বাকি। তবে তাঁর এই সুস্থ হয়ে ওঠা চিকিৎসক ও পরিবারের জন্য এক অলৌকিক স্বস্তির বার্তা’, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসারত প্রখ্যাত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।


নানান খবর

নয় বছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, গার্ডেনরিচ থানা এলাকায় চাঞ্চল্য, অভিযুক্ত পলাতক

সরকারি অনুমতি ছাড়া আর বিদেশ ভ্রমণ নয়, নয়া নিয়ম জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

মনের রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে নব চেতনার দিগন্তে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন

রবিরার রাজ্যে পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের পরীক্ষা, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রবিবার চলবে বিশেষ মেট্রো

ব্যাগে বন্দুক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্য? মমতা ব্যানার্জির পাড়া থেকে আটক এক

দুপুরেই কলকাতায় অন্ধকার, তুমুল বৃষ্টি-প্রবল ঝড়, কতক্ষণ চলবে দুর্যোগ? জলযন্ত্রণার আতঙ্কে শহরবাসী

রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য সপ্তাহান্তে বন্ধ থাকছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, কোন রাস্তায় যাতায়াত করবেন? বড় আপডেট কলকাতা পুলিশের

গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হরিদেবপুরে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন না কি আত্মহত্যা, তদন্তে পুলিশ

জায়গা দখল নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডা, চলন্ত লোকালে পেপার স্প্রে ছুড়ে হুলুস্থুল বাধালেন যুবতী! শেয়ালদহে চাঞ্চল্যকর ঘটনা

ভিডিও কলের সময় এক ট্যাপেই নিজের মোবাইলের সম্পূর্ণ স্ক্রিন শেয়ার করুন, জানুন পদ্ধতি

ওজন কমাতে জিরে না চিয়া বীজ, কোন জলে ভরসা রাখবেন? জেনে নিন কী বলছে পুষ্টিবিজ্ঞান

'২৯ বারের শিল্ডজয়ী ইস্টবেঙ্গল, আমাদের সঙ্গে কেন এই ব্যবহার?', বিস্মিত অস্কারের প্রশ্ন

বিয়ের হাওয়া বদল! মুক্ত হাওয়া নাকি চাহিদার হেরফের? ওপেন ম্যারেজের হালহকিকত জানালেন আইনজীবী

হ্যান্ডশেক বিতর্কের পর 'হাই ফাইভ', পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব মেটাল ভারতীয় হকি দল

নেশনস কাপে সাফল্যের নটে গাছটি মুড়োল, এশিয়ান কাপ অধ্যায় শেষ খালিদ জামিলের ভারতের

ঢাকায় রাসায়নিক কারখানায় আগুন, মৃত ১৬

মস্তিষ্কের বন্ধু, হৃদয়ের রক্ষাকবচ, রোজের পাতে এই একটি খাবার রাখলেই চাঙ্গা থাকবে শরীর

অপারেশন সিন্দুরের সময় কোন পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী যা এখনও কেউ জানে না, জানালেন ডিজিএমও

পকেটে টাকা নেই? তাতে কী! শিখে নিন নামমাত্র খরচে দীপাবলিতে ঘর সাজানোর সহজ পাঠ

পাখির চোখ ২০২৬ বিশ্বকাপ, অ্যানচেলোত্তির ভাবনায় নেইমার, তবে দিলেন এক শর্ত

কাঁচা দুধ বনাম ফোটানো দুধ, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী? কী বলছে পুষ্টিবিজ্ঞান?

এই তারকাকে বল করতে না দেখে বিস্মিত আকাশ চোপড়া, সিরিজ জিতলেও গিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন

শীতের আগেই ভয়ের দাপট দিল্লিতে, চলছে আগাম প্রস্তুতি

ধূমপান ছাড়ার পরেও ক্ষতিকর পদার্থ রয়ে যায় বুকে! ফুসফুস নিংড়ে বিষাক্ত ময়লা বার করবেন কীভাবে?

১৪ অক্টোবর প্রসেনজিৎ-দেব-জিতের কাছে 'বিশেষ' দিন, কেন এই দিন ভুলতে পারবেন না তিন সুপারস্টার?

বাবা, তোমাকেই দিলাম আমার ম্যাচসেরার পুরস্কার, ফাইনালও উৎসর্গ করব তোমাকেই

একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নির্যাতিতার, বাকিদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: আসানসোলের পুলিশ কমিশনার

বিশ্ব অর্থনীতির ভারসাম্যে ভারত এখন কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিয়েছে: আইএমএফ

জ্ঞান যত কম, গলার জোর তত বেশি! ‘মূর্খ’রা কেন বেশি আত্মবিশ্বাসী হন? ‘ডানিং-ক্রুগার এফেক্ট’-এ লুকিয়ে আছে উত্তর

কে কে ভালবাসে, মারা গেলে কষ্ট পাবে? জানার জন্য 'মৃত' সেজে অভিনয়! চিতায় আগুন দেওয়ার আগেই নাটকীয় মোড়

দলে মহিলাদের সম্মান নেই, সভা চলাকালীন দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই স্লোগান মহিলা মোর্চার

শুভমনের দলে যোগ দিতে মুম্বই ছাড়লেন রোহিত, চেহারা দেখে চমকে যেতে হবে

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত সংঘর্ষ, ভারতে এর কতটা প্রভাব পড়তে পারে? জানাচ্ছেন প্রাক্তন সেনাকর্তা

সোশ্যাল মিডিয়া