আজকাল ওয়েবডেস্ক: কে হতে চলেছেন বিজেপির পরবর্তী জাতীয় সভাপতি? জে পি নাড্ডার উত্তরসূরি কে? গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা তুঙ্গে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরেই, বিজেপি পরবর্তী জাতীয় সভাপতি বেছে নিতে চলেছে। উল্লেখ্য, সূত্রের খবর, পরবর্তী জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে সম্পন্ন হবে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটকের রাজ্য সভাপতি নির্বাচন। এর মাঝেও রয়েছে আরও একটি বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর প্রদেশ থেকে বিজেপির জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হবেন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাট থেকে নির্বাচিত হবেন। এরপর দুই নেতাই নতুন সভাপতির মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক হিসেবে কাজ করতে পারবেন। 

 

মঙ্গলবার সূত্র মারফত প্রাপ্ত তথ্য, বিহার নির্বাচনের আগেই নয়া জাতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করবে গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে এরুয়া শিবিরের জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ২০১৯ সাল থেকে দলের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে বিজেপির জাতীয় সভাপতি নাড্ডা। 

আরও পড়ুন: নাড্ডার উত্তরসূরি কে? বিহার ভোটের আগেই জাতীয় সভাপতি ঘোষণা বিজেপির! ...

দলীয় সূত্রে খবর, সভাপতি পদে কোনও মহিলা নেত্রীকে দেখা যেতে পারে। দলের সিনিয়র নেতারা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বৈঠক সেরেছেন। সভাপতি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন, নির্মলা সীতারমন, ডি পুরন্দেশ্বরী এবং বনথি শ্রীনিবাসন।

নির্মলা সীতারমন

দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সম্প্রতি দলের সদর দপ্তরে সভাপতি নাড্ডা এবং সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। দলীয় সূত্রে দাবি, বিস্তৃত অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা থাকায় সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

যদি নির্মলাকে সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়, তাহলে দক্ষিণ ভারতে বিজেপির অবস্থান আরও শক্তিশালী হতে পারে। নির্মলার নেতৃত্ব বিজেপির লোকসভায় মহিলাদের জন্য প্রস্তাবিত ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিও প্রতিফলিত করবে। যা পরবর্তী সীমানা নির্ধারণের পরে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি এর আগেও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলীয় সংগঠনে তাঁর শিকড় যথেষ্ট গভীরে রয়েছে।

ডি পুরন্দেশ্বরী

তালিকায় এর পরের নাম অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির। বহুভাষিক নেত্রী, পুরন্দেশ্বরীর রাজনৈতিক জীবন সাজানো গোছানো। অপারেশন সিঁদুরের পর বিভিন্ন দেশে যাওয়া বহুদলীয় প্রতিনিধি দলেও ছিলেন তিনি। 

বনথি শ্রীনিবাসন

তামিলনাড়ুর আইনজীবী তথা রাজনীতিবিদও রয়েছেন দৌড়ে। বর্তমানে তিনি কোয়েম্বাটোর দক্ষিণের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ১৯৯৩ সালে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে বনথি রাজ্য সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক এবং তামিলনাড়ুর সহ-সভাপতি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০২০ সালে, দল তাকে বিজেপি মহিলা মোর্চার জাতীয় সভাপতি নিযুক্ত করে এবং ২০২২ সালে তিনি প্রথম তামিল মহিলা হিসেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য হন।

আরএসএসের ভাবনা

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা সভাপতির ভাবনা সঙ্ঘের মস্তিষ্কপ্রসূত। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে, বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে, বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে মহিলা ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিজেপি যদি এই পদক্ষেপ করে, তাহলে দলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন মহিলা নেত্রীকে জাতীয় সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হবে।