আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোট আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডিকে তাদের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের জন্য তিনি এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণের প্রতিপক্ষ, যিনি মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল এবং তামিলনাড়ুতে বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা।

বিচারপতি রেড্ডি (অবসরপ্রাপ্ত) সম্পর্কে পাঁচ তথ্য-

১. বিচারপতি রেড্ডি (অবসরপ্রাপ্ত) ১৯৪৬ সালের ৮ জুলাই বর্তমান তেলেঙ্গানার রাঙ্গারেড্ডি জেলার তৎকালীন ইব্রাহিমপত্তনম তালুকের আকুলা মাইলারাম গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

২. তিনি ১৯৭১ সালে হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে রিট এবং দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করেন।

৩. বিচারক হওয়ার আগে বি সুদর্শন রেড্ডি ১৯৮৮-৯০ সালে সরকারি আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত স্থায়ী আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা এবং স্থায়ী আইনজীবীও ছিলেন।

৪. ১৯৯৫ সালে  বি সুদর্শন রেড্ডি অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারক হন। ২০০৫ সালে তিনি গৌহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হন, ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

৫. ২০১৩ সালের মার্চ মাসে, বিচারপতি রেড্ডি (অবসরপ্রাপ্ত) গোয়ার প্রথম লোকায়ুক্ত হন। তবে, কয়েক মাস পরে সেপ্টেম্বরে, ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।

বিচারপতি রেড্ডির নাম 'ইন্ডিয়া' জোটের শীর্ষ বিরোধী নেতাদের উপস্থিতিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করা হয়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাগড়ে জানিয়েছেন যে, প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি বিরোধী জোটের সব বিরোধী দলের সর্বসম্মত পছন্দ।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিচারপতি রেড্ডির সম্পর্কে বলেছেন, "ভারতের সবচেয়ে বিশিষ্ট এবং প্রগতিশীল আইনবিদদের একজন হলেন বিচারপতি রেড্ডি। তিনি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ন্যায়বিচারের একজন ধারাবাহিক এবং সাহসী সমর্থক ছিলেন।" কংগ্রেস সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দরিদ্রদের পক্ষপাতী এবং সংবিধান এবং মৌলিক অধিকার রক্ষাকারী একজন ব্যক্তি হিসেবে প্রশংসা করেন।

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ অগাস্ট। ২২ অগাস্ট যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ এবং ২৫ অগাস্ট প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। 

স্বাস্থ্যগত কারণে জগদীপ ধনখড়ের আকস্মিক পদত্যাগের পর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদিও নানা সূত্র খবর, বিজেপির সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই খাড়গে তড়িঘড়ি উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।