কপালে রক্ততিলক, চোখে জ্বলছে বিপ্লবের আগুন! স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে অনন্ত সিং-এর রূপে সামনে এলেন জিৎ
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৫ আগস্ট ২০২৫ ১২ : ০৫
শেয়ার করুন
বিল্পবী অনন্ত সিং-এর বায়োপিক নিয়ে আসছেন পরিচালক পথিকৃৎ বসু। ছবির নাম 'কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত'। ছবিতে মুখ্য চরিত্র অনন্ত সিং-এর ভূমিকায় দেখা যাবে জিৎকে। এই খবর আগেই এসেছিল। ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন এই ছবিকে ঘিরে দর্শক মহলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিলেন 'সুপারস্টার' জিৎ।
এদিন সমাজমাধ্যমে 'অনন্ত সিং' হয়ে ওঠার জার্নি ভাগ করলেন তিনি। অক্টোবর মাস থেকে কলকাতা, ঝাড়খণ্ড, মাসাঞ্জর ড্যাম-এর মতো বিভিন্ন লোকেশনে শুরু হবে শুটিং। তার প্রাক্কালেই ঐতিহাসিক এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিজের মতো করে কড়া হোমওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছেন সুপারস্টার। তা ওই ভিডিওতে স্পষ্ট হল। এই ছবিতে জিৎকে বিপ্লবী অনন্ত সিংয়ের লুকে ফুটিয়ে তোলার দায়িত্বে আছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত রূপটান শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর উপর। জিৎ-এর কপালে রক্ততিলক এঁকে তিনি যেন এক বিপ্লবের সূচনা করলেন।
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Jeet (@jeet30)
অভিনেতার প্রস্থেটিক লুকের ঝলকও দেখা গেল। লাঠি খেলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন জিৎ, চলছে ছবিতে গানের কাজও। 'কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত' ছবিটির মিউজিকের দায়িত্বে রয়েছেন শান্তনু মৈত্র। জিৎ-এর ভাগ করে নেওয়া ভিডিওতে পাওয়া গেল তাঁরও এক ঝলক।
সমাজমাধ্যমে এই ভিডিও ভাগ করে জিৎ লেখেন, 'যে স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন বিপ্লবী অনন্ত সিং, এ দেশের বুকে আজও কি বেঁচে আছে সেই স্বপ্ন?'
প্রসঙ্গত, ১৯৬০-এর দশকের কলকাতার পটভূমিতে তৈরি হবে ছবিটি। সেসময় সমাজের প্রভাবশালীদের লক্ষ্য করে একের পর এক পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা একদিকে ভয় এবং মুগ্ধতা উভয়কেই জাগিয়ে তোলে। এর পিছনে রয়েছে অনন্ত—একজন বয়স্ক, রহস্যময় ব্যক্তিত্ব যাকে কেউ অপরাধী হিসেবে ভাবেন। আবার কেউ তাঁকে ভাবেন মসিহা। ইন্সপেক্টর দেবী রাই যখন ঘটনার তদন্ত শুরু করেন, সেসময় দু'ভাগে ভাগ হয়ে যায় জনগণ। কেউ বলেন তিনি কি ডাকাত নাকি কোনও বিপ্লবীর পুনর্জন্ম হয়েছে?
এই ছবি অনন্তের অতীতের স্তরগুলিকে তুলে ধরবে। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মাস্টারদা সূর্য সেনের অধীনে একজন নিবেদিতপ্রাণ স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে এবং দুর্নীতি ও লোভের মুখে জাতির আদর্শ ভেঙে পড়তে দেখে একজন মোহভঙ্গ মানুষ হিসেবে। সেই আদর্শের বিশ্বাসঘাতকতা মেনে নিতে অস্বীকার করে, অনন্ত উগ্র ন্যায়বিচারের দিকে ঝুঁকে পড়ে, তার যুদ্ধ দক্ষতা এবং কৌশলগত মন ব্যবহার করে একটি নতুন যুদ্ধে লড়াই করে সে। এবার, দরিদ্রদের জন্য। নিজের অতীত- বর্তমানের সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি, অনন্ত মুক্তি, বিদ্রোহ এবং ন্যায়বিচারের নৈতিক মূল্যের গল্পে পরিণত হয়। অনন্ত সিং-এর জীবনের নানা অদেখা দিককে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে প্রস্তুত পথিকৃৎ।