আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন। সেখানে ক্রিকেট ফিরল ১৭ বছর পর। স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা ছিল। উন্মাদনা ছিল হ্যারি গিলের মধ্যেও। তবে রাতারাতি যে তিনি শিরোনামে চলে আসবেন এমনটা ভাবতে পারেননি। সৌজন্যে এক হাতে ধরা একটা ক্যাচ, যা ভাইরাল হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
বাউন্ডারির ধারে বিজ্ঞাপনী বোর্ডের কাছে বসে খেলা দেখছিলেন গিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ১২তম ওভার চলছিল। হঠাৎই টিম ডেভিডের একটা শট উড়ে আসে। গিলের ডান হাতে ছিল দুটো ভদকার ক্যান। সেই অবস্থাতেই বাঁ হাতে ক্যাচ ধরে ফেলেন তিনি। বাউন্ডারির ধারে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডারও অবাক হয়ে যান।


গোটা স্টেডিয়ামে তখন উল্লাস। তবে ডেভিডের ছয়ের কারণে নয়, গিলের ক্যাচের জন্য। ক্যাচ ধরে বল নিয়ে বাকি দর্শকদের দিকে তাকিয়ে উচ্ছ্বাস করতে থাকেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য এজ’ সংবাদপত্রে গিল বলেছেন, ‘‌হাতের লেমোনেডগুলো খুবই ভাল ছিল। সকালেও মাথা ঝিমঝিম করছিল।’‌


তিনি আরও বলেছেন, ‘‌হঠাৎ করেই ক্যাচটা হাতে চলে আসে। সকালেও হাত ব্যথা করছে। আমি খুব খুশি। ওই ঘটনার পর থেকে আমার ফোন বেজেই চলেছে।’‌ 
এদিকে, গিলের ক্যাচের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে ৩৮ বছর আগের একটা ক্যাচের। ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে এ রকমই একটা ক্যাচ ধরেছিলেন চ্যানেল নাইনের ক্যামেরাম্যান টনি ফক্স। সাইমন ও’ডোনেলকে ছয় মেরেছিলেন ইয়ান বথাম। ফক্সও সেই ক্যাচ এক হাতে ধরেছিলেন, মুখে ছিল সিগারেট। গিল জানিয়েছেন, তাঁর বাবা ওই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ পাঠিয়েছেন।

 

আরও পড়ুন:‌ এবার বিশ্বকাপ জিতে দেখাব, হুঙ্কার হরমনপ্রীতের


গিলের কথায়, ‘‌ও অনেক ঠান্ডা মাথায় ক্যাচটা ধরেছিল। আমার মুখেও ও রকম একটা সিগারেট থাকলে ভাল হত। আমার সামনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারও বলল, আমি ভাল ক্যাচ নিয়েছি।’‌ 

এদিকে আগামী বছর টি২০ বিশ্বকাপ। কারা ওপেন করবেন তা এখন থেকেই ঠিক করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিং জুটিতে কোনও রকম পরিবর্তন করা হবে না। একপ্রকার জানিয়েই দিয়েছে ব্যাগি গ্রিনরা।


অস্ট্রেলিয়ার টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মিচেল মার্শ। অধিনায়ক স্বয়ং জানিয়েছেন, আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত ওপেনার হিসাবে ট্র্যাভিস হেডের জায়গা নিশ্চিত। তাঁর সঙ্গে ওপেন করবেন মার্শ নিজে। এই জুটির পিছনে রয়েছে তাঁদের বোঝাপড়া, তাঁদের তালমিল। সেই কারণেই যে দুই তারকা শুরুতে ওপেন করবেন, তা জানিয়েছেন অধিনায়ক।

মার্শ বলেছেন, ''আমি আর হেড ইনিংস শুরু করব। আমরা দু’জনে একসঙ্গে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের সম্পর্কও দারুণ। তাই আমরাই শুরু করব।’হেড ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান। ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে একাই ভারতের মুখে গ্রাস কেড়ে নিয়েছিলেন। সেই তিনি বাঁ হাতি ব্যাটার। আবার মার্শ ডান হাতি। ফলে বাঁ হাতি-ডান হাতি কম্বিনেশন বজায় থাকবে। আর এই কম্বিনেশন থাকলে প্রতিপক্ষ বোলারেরও সমস্যা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই দু'জন আগে কখনও একসঙ্গে ওপেন করেননি। ওয়ানডে-তে অবশ্য পার্টনারশিপ গড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে দু'জনের। সেটাই এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কাজে লাগাতে চাইছেন।