শরীরের জ্বালানি হল খাবার। দেহের প্রয়োজনীয় শক্তি এই খাবার থেকেই পাওয়া যায়। সঙ্গে মেলে পুষ্টি উপাদান। যা সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। তাই আমরা প্রতিদিন কী খাই, কতটা খাই তা সুস্থতার জন্য খুবই জরুরি। আজকাল ব্যস্ততার যুগে অনেকের মধ্যেই ভুল খাদ্যাভাস দেখা যায়। তাই অল্প বয়স থেকেই শরীরে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো ক্রনিক রোগ বাসা বাঁধে। শরীর ঠিক রাখার জন্য খাদ্যাভাসের বড় ভূমিকা রয়েছে। তবে শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলেই চলবে না, সঠিক সময়ে ঠিক খাবার খাওয়াও জরুরি। তবেই শরীর-স্বাস্থ্যে নিয়ে ভোগাবে না দুশ্চিন্তা।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, সকালে খালি পেটে থাকার অভ্যাস যেমন বিপজ্জনক, তেমনই ভুল খাদ্যাভাসও শরীরের বারোটা বাজাতে পারে। আসলে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি স্বাস্থ্যকর হলেও খালিপেটে খেলে বদহজম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে যাঁরা গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাহলে খালি পেটে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন, জেনে নিন-
আরও পড়ুনঃ মুখ বলে দিতে পারে শরীর কেমন আছে! কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন? ৯৯ শতাংশ মানুষই বুঝতে পারেন না
১) টক জাতীয় ফল: ভিটামিন সি সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। লেবু, আঙুরের মতো সাইট্রাস ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিডও থাকে। কিন্তু খালি পেটে এই ধরনের ফল খেলে সারাদিন হজমের গন্ডগোল, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে টমেটোও।
২) চা-কফি: ঘুম থেকে উঠে অনেকেরই কফি খাওয়া অভ্যাস রয়েছে। দিনের শুরুতে কফিতে চুমুক না দিলে যেন কাজে এনার্জি আসে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যাফিনজাতীয় পানীয় পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই খালি পেটে এই গরম পানীয় খেলে গলা-বুক জ্বালার মতো অস্বস্তি হতে পারে। চাইলে ব্রেকফাস্ট খাওয়ার আধ ঘণ্টা পর চা কিংবা কফি খেতে পারেন।

৩) ভাজাভুজি- যতই খেতে মুখরোচক হোক, সকালের খাবারে একেবারেই চলবে না ভাজাভুজি। কারণ এই ধরনের তেলযুক্ত ভাজা খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এবং সারাদিনের হজমশক্তিকে নষ্ট করে দিতে পারে। পারলে সারাদিনই তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৪) সোডাজাতীয় পানীয়- খালি পেটে সোডাজাতীয় পানীয় খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে পেটে গ্যাস, পেটফাঁপার মতো সমস্যা থাকলে এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কৃত্রিম চিনি দেওয়া পানীয়, রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে। সারা দিনের যে কোনও সময়ে এই পানীয় খেলে তা ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। সঙ্গে লিভার, কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
৫) কাঁচা সবজি বা স্যালাড- সবজি বা স্যালাডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা খাওয়া ভাল অভ্যাস হলেও সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে সামান্য ভাপিয়ে বা স্যঁতে করে খেতে পারেন। দুপুরে বা অন্য সময় স্যালাড খান। এতে পেটের গন্ডগোল হওয়ার ঝুঁকি থাকে না৷
