আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্ব সংগীতের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম মাইকেল জ্যাকসন। তাঁর ভক্তরা আজও তাঁকে স্মৃতিতে ও হৃদয়ে জীবিত রাখার জন্য উঠে-পড়ে লাগে। সম্প্রতি সেই আবেগেরই এক নতুন নজির তৈরি হয়েছে ফ্রান্সে, যেখানে জ্যাকসনের একটি পুরনো মোজা বিক্রি হয়েছে চমকপ্রদ দামে — ৭,৬৮৮ ইউরো, অর্থাৎ প্রায় ৮,৮২২ মার্কিন ডলার। এই সাদা অ্যাথলেটিক মোজাটি ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সের নিম শহরে অনুষ্ঠিত HIStory World Tour-এর একটি কনসার্টে পরেছিলেন জ্যাকসন। পারফরম্যান্স শেষে ড্রেসিং রুমের কাছে এক টেকনিশিয়ান মোজাটি খুঁজে পান এবং তা নিজের কাছে রেখে দেন বছরের পর বছর ধরে। তাঁর মতে, এটি ছিল এক “অসাধারণ" ও “কাল্ট অবজেক্ট” — মাইকেল জ্যাকসনের অগণিত ভক্তদের কাছে এক দুষ্প্রাপ্য স্মারক।

নিলামে মোজাটির প্রাথমিক মূল্য ধার্য ছিল ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো, কিন্তু প্রচণ্ড আগ্রহে সেটি দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়। ২০০৯ সালের ২৫ জুন, ৫০ বছর বয়সে লস অ্যাঞ্জেলেসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তিনি লন্ডনে ‘This Is It’ নামে একটি কামব্যাক কনসার্ট সিরিজের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মারির মতে, ঘুমের ওষুধ প্রোপোফল ও বেনজোডায়াজেপিনের অতিরিক্ত মাত্রায় তাঁকে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলেই ঘটেছিল ট্র্যাজেডি।

আরও পড়ুন: 'শুধু বড় হলেই হয় না...দাঁড়ানোটাও জরুরি' — বিবাহ ও সম্পর্ক নিয়ে জেন জি-র নতুন চিন্তা ভাবনা

আজও ১৬ বছর পর, 'King of Pop' মাইকেল জ্যাকসনের প্রভাব বিশ্বজুড়ে অম্লান। আনুমানিক ৭৫০ মিলিয়ন রেকর্ড বিক্রি করে, তিনি আজও সংগীত, নৃত্য এবং পপ কালচারের এক অপরাজেয় কিংবদন্তি। এদিকে, জ্যাকসনের জীবনভিত্তিক বায়োপিক 'Michael' মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২৪ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী। আগে এই সিনেমাটি ২০২৫ সালের অক্টোবরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। সিনেমার সারাংশ অনুযায়ী, 'Michael' দেখাবে কিভাবে এক সাধারণ মানুষ হয়ে উঠলেন 'King of Pop', তুলে ধরবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, শিল্পীসত্তা ও বিশ্বসংস্কৃতির ওপর তাঁর গভীর প্রভাব। মাইকেল জ্যাকসনের জীবনের প্রতি এই অগাধ ভালোবাসা এবং আগ্রহ দেখিয়ে দেয়— সত্যিকারের কিংবদন্তিদের কখনোই মৃত্যু হয় না, তাঁরা চিরকাল বেঁচে থাকেন ভক্তদের হৃদয়ে।

২০০৯ সালের ২৫ জুন, মাত্র ৫০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন মাইকেল জ্যাকসন। তিনি তখন লন্ডনে “This Is It” নামে এক গ্র্যান্ড কামব্যাক কনসার্টের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে শুরু থেকেই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। জ্যাকসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডঃ কনরাড মারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি ঘুমের জন্য জ্যাকসনকে অতিরিক্ত মাত্রায় প্রোপোফল ও বেনজোডায়াজেপিন ইনজেকশন দিয়েছিলেন, যা জ্যাকসনের মৃত্যুর কারণ হয়। আদালত ডঃ মারেকে অযথাযথ চিকিৎসা ও অনিচ্ছাকৃত হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে।

মৃত্যুর পরেও মাইকেলের নাম জড়িয়েছে নানা বিতর্কে—বিশেষ করে তাঁর বিরুদ্ধে শিশু নিপীড়নের অভিযোগ ঘিরে। যদিও অনেক মামলায় তিনি মুক্তি পান, তবু বিতর্ক তাঁর উত্তরাধিকারকে কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। তবুও, শিল্পী হিসেবে তাঁর অবদান আজও অনস্বীকার্য ও বিশ্বজোড়া ভক্তদের কাছে তিনি রয়ে গেছেন এক অমর কিংবদন্তি।