আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমরা বলতে পারি যে আলু সবজির রাজা। বিশ্বব্যাপী এই সবজি খাওয়া হয়। নৌবাহিনীতে সৈন্যদের কাছে প্রচুর পরিমাণে আলুর মজুদ থাকে কারণ এগুলি দ্রুত পচে না, রান্না করা এবং খাওয়া সহজ। আলু এমন একটি সবজি যা যে কোনও ধরণের খাবারের সঙ্গে ভালভাবে মিশে যায়। প্রচুর পরিমাণে ব্যবহারের কারণে এই সবজির চাহিদা সবসময়ই থাকে। কিন্তু এরই মধ্যে, ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে আলুর দামও বাড়তে থাকে এবং কিছু বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য, অসাধু লোক বাজারে নকল আলু বিক্রি শুরু করেন। নকল আলু দেখতে এতটাই আসল যে সেগুলি শনাক্ত করা খুব কঠিন। নকল আলু খেলে গুরুতর রোগ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, কিছু সহজ টিপসের সাহায্যে, আপনি আসল এবং নকল আলু শনাক্ত করতে পারবেন খুব সহজেই।

আপনি যে খাবার খাচ্ছেন তা তাজা, আসল এবং কীটনাশকমুক্ত কি না তা পরীক্ষা করে নেওয়া ভাল। যখন বাজার নকল জিনিসে ভরে যায়, যার মধ্যে খাবার এবং শাকসবজিও রয়েছে, তখন সেগুলি পরীক্ষা করে নেওয়া সবসময় ভাল। বাজারে নকল আলু বিক্রি হচ্ছে, যা খেলে আপনি অসুস্থ হতে পারেন। এই আলুগুলি বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক ব্যবহার করে বিক্রি করা হচ্ছে।

আসল আলুকে তার গন্ধ দিয়ে চেনা যায়। যদি আলু আসল হয়, তাহলে অবশ্যই এর প্রাকৃতিক গন্ধ থাকবে। অন্যদিকে নকল আলুতে রাসায়নিক গন্ধ থাকে এবং এর রঙ হাতেও দাগ ফেলে। কিছু হালকা লাল রঙের আলু নকল বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

আপনি যখন আলু কাটবেন তখন এর ভিতরের রঙ এবং বাইরের রঙ প্রায় একই রকম হবে। অন্য দিকে, নকল আলুর ভিতরের রঙ আলাদা হবে। নকল আলুর উপর থাকা কাদা জলে গলে যায় এবং খুব দ্রুত পরিষ্কার হয়ে যায়। আসল আলুর উপর থাকা কাদা ঘষার পরেও এত সহজে পরিষ্কার হয় না।

আরও পড়ুন: এক লিটার পানীয় জলের দাম ১১২৬ টাকা! বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল জল এই দেশেই মেলে, জানেন কোনটি?

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে নকল আলু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এই আলুতে থাকা কৃত্রিম রঙ এবং রাসায়নিকগুলি কিডনি এবং লিভারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। নকল আলু দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ক্ষুধা হ্রাস পেতে পারে। 

আজকাল কিছু মুষ্ঠিমেয় মানুষ কয়েকটি টাকা লাভের জন্য জনগণের স্বাস্থ্যের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলছেন। গত কয়েক বছরে ভেজাল পণ্যের ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে উৎসবের সময় খাদ্যদ্রব্যে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল মেশানো হয়। 

সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় একটি অভিযানে বিপুল পরিমাণে নকল আলু বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই আলুগুলিকে তাজা এবং নতুন দেখানোর জন্য অনেক ক্ষতিকারক রাসায়নিক যোগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর ফলে লোকেরা ভুল করে নতুন ভেবে এই আলু কিনতে পারেন।

বাজারে ‘হেমাঙ্গিনী’ বা ‘হেমালিনী’ আলু চন্দ্রমুখীর দামেই বিক্রি হচ্ছে। যা দেখতে চন্দ্রমুখীর মতো কিন্তু স্বাদে সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু যদি আপনি এগুলোকে পাশাপাশি রাখেন, তাহলে বোঝা কঠিন যে কোনটি চন্দ্রমুখী আলু আর কোনটি হেমাঙ্গিনী আলু। বাজারে চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। সেখানে হেমাঙ্গিনী আলুর দাম কেজি প্রতি ১৮ থেকে ২০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে হেমাঙ্গিনী আলুকে চন্দ্রমুখী আলু বলে বিক্রি করছেন। ফলে ক্রেতারা সমস্যায় পড়ছেন।