আজকাল ওয়েবডেস্ক: লিভ-ইন পার্টনারের হাতে খুন হলেন খোদ মহিলা পুলিশ অফিসার। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের কচ্ছ জেলায়। অভিযোগ, ওই মহিলা পুলিশ অফিসারকে তাঁর লিভ-ইন পার্টনার শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি, দিলীপ ড্যাংচিয়া পেশায় সিআরপিএফ (CRPF)-এর কনস্টেবল। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে তিনি নিজেই আনজার থানায় গিয়ে খুনের কথা স্বীকার করে নেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মহিলা অফিসার, অরুণাবেন নটুভাই যাদব (২৫), কচ্ছের আনজার থানায় সহকারী সাব-ইনস্পেক্টর (ASI) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আনজারেই একটি বাড়িতে দিলীপের সঙ্গে একসাথে থাকতেন তিনি। শুক্রবার রাতে আনজারে তাঁদের বাসভবনে দু’জনের মধ্যে হঠাৎ বচসা বাঁধে। আনজার ডিভিশনের ডেপুটি পুলিশ সুপার মুকেশ চৌধুরীর মতে, ঝগড়ার সময় অরুণাবেন দিলীপের মায়ের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এরপর রাগের বশে দিলীপ তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, দিলীপ ও অরুণাবেনের সম্পর্ক ২০২১ সাল থেকে। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় হয় এবং সেখান থেকেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন এবং বিয়ের পরিকল্পনাও করছিলেন। দিলীপ বর্তমানে মণিপুরে সিআরপিএফে কর্মরত।

আরও পড়ুন: স্মরণ করলেন শহিদদের, তোপ দাগলেন বিরোধীদেরও, ধর্মতলায় মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে মমতা বললেন, ‘বাকি কথা কাল হবে’

তিনি ছুটিতে এসে আনজারে অরুণার সঙ্গে থাকছিলেন। ঘটনার পর দিলীপ স্বেচ্ছায় থানায় গিয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। পুলিশ এখন এই খুনের পেছনের মোটিভ ও অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় কচ্ছ জেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মীদের মতে, অরুণাবেন কর্তব্যপরায়ণ ও সাহসী পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কিছুদিন আগে উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলায় লিভ ইন পার্টনারকে নৃশংস ভাবে খুনের কথা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ জানায়, খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালে নভেম্বর মাসে। পূজা বিশ্বাসের সঙ্গে মোস্তাক আহমেদের পরিচয় হয়েছিল বহু আগে। তারপর গুরগাঁওয়ে দু’জনে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। পূজা একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। মোস্তাক ক্যাব চালক ছিল। পূজার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকাকালীন গত বছর নভেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ডে ফিরে এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় মোস্তাক। মোস্তাকের বিয়ের খবরটি জানতে পারেন পূজা। তারপরেই শুরু হয় তীব্র অশান্তি।

পঞ্চায়েতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়। ১৬ নভেম্বর পূজার সঙ্গে দেখা করে, তনকপুর রোডের পাশে একটি খালের ধারে নিয়ে যায় মোস্তাক। সেখানে পূজার গলা কেটে খুন করে সে। এরপর মুণ্ডু একটি বস্তায় ভরে আর্বজনার মধ্যে ফেলে দেয়। মুণ্ডুহীন দেহটি কাপড়ে জড়িয়ে খালের জলে ভাসিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন বোনের খোঁজ না পাওয়ায় গত ডিসেম্বরে গুরগাঁওয়ের সেক্টর ৩ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পূজার দিদি। তারপরেই পুলিশ খোঁজ শুরু করে। মোস্তাকের খোঁজ পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। কয়েক মাস জেরার পর পূজাকে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে অভিযুক্ত।