আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৪ দলের টি২০ বিশ্বকাপ করার ভাবনা আইসিসির। ক্রিকেটে ফের বদলের চিন্তাভাবনা করছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে আইসিসি’র চার দিনের বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানেই টি২০ বিশ্বকাপ ও টেস্ট বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনায় করবেন জয় শাহরা। আরও বেশ কয়েকটা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা বৈঠকে।
তবে জানা গেছে, সভায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে দুটো বিশ্বকাপকে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখন খেলে ন’টা দেশ। কিন্তু প্রত্যেকে প্রত্যেকের সঙ্গে খেলে না। সকল দেশের ক্রিকেটের মানও সমান নয়। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থেকে আয়েরও তফাত রয়েছে। তাই অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তাব দিয়েছে, দু’ধাপে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হতে পারে। সেনা (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) দেশ ও ভারতকে নিয়ে একটা ধাপ। এই পাঁচ দেশের মধ্যেই হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল। দ্বিতীয় ধাপে থাকবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবোয়ে, আফগানিস্তানের মতো দল। তারা নিজেদের মধ্যে খেলবে। প্রত্যেক দু’বছর অন্তর ফাইনাল হবে। নীচের ধাপ থেকে উপরের ধাপে যেমন ওঠা যাব। পাল্টা অবনমনও থাকবে।
আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হতে চলেছে জয় শাহর। পাশাপাশি আইসিসি সিইও পদে সংযোগ গুপ্তকে নিযুক্ত করেছে। তিনিও থাকবেন বৈঠকে। দু’ধাপে টেস্ট বিশ্বকাপ হলে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে আরও বেশি সিরিজ খেলতে পারবে। এতে আয়ও বেশি হবে। তবে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা এখনই বলবৎ হবে না। ২০২৭ সালের পর থেকে কার্যকর হবে। অর্থাৎ এই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সার্কেলের পর।
আরও পড়ুন: ভারত এতদিনে সিরিজ জিতে যেত, যদি এই কাজটা করত, কোন কথা বলতে চাইলেন শাস্ত্রী জানুন ...
এদিকে ভারত–ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে মন্তব্য করেছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি মনে করেন ভারত এতদিনে সিরিজ জিতে যেত। শাস্ত্রীর কথায়, ‘ভারত যদি কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পেত, তাহলে সিরিজে ৩–০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকত। লর্ডস টেস্টের মোড় ঘরানো মুহূর্ত ঋষভ পন্থের আউট। বেন স্টোকস উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে। বলটা অসাধারণ থ্রো করেছে। পন্থ ওই সময় আউট না হলে ভারত প্রথম ইনিংসে এগিয়ে গিয়ে অ্যাডভান্টেজ পেতে পারত। কারণ ভারত সেই সময় চালকের আসনে ছিল।’ এরপরই শাস্ত্রীর সংযোজন, ‘একটা সময় ভারতের রান ছিল ১ উইকেটে ৪১। ব্রাইডন কার্সের বল ছেড়ে দিয়ে লেগবিফোর হয় করুণ। মনঃসংযোগের ব্যাঘাত ঘটেছিল। এর পরেই প্রবলভাবে ম্যাচে ফিরে আসে ইংল্যান্ড। দিনের শেষে করুণের আউটটাই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দিয়েছিল।’
শাস্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘জাদেজা, বুমরা এবং সিরাজ যখন ব্যাট করছিল, বল কিন্তু তখনই বেশ পুরনো হয়ে গিয়েছিল। তখন কিন্তু বল তেমন কিছু জাদু দেখায়নি। ওরা দুরন্ত ডিফেন্স করেছে। কিন্তু মাত্র ২২ রানে হেরে গেল ভারত। যদিও এই তিনজনেরই প্রশংসা করতে হবে। ওরা যদি আরও একটু মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিত, তাহলে ম্যাচটা জিতে আসতে পারত ভারত।’ ইংল্যান্ডের প্রশংসাও করেছেন তিনি।
