আজকাল ওয়েবডেস্ক: একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সাম্প্রতিককালে এই ঘটনা আগেও বারবার ঘটেছে, ফের একই ঘটনা। জানা গিয়েছে, মদ্যপ অটো চালক তাঁর বাবা-মাকে হাতুড়ি দিয়ে খুন করে, রক্তাক্ত দেহের সঙ্গেই রাত কাটিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই, পুলিশ রকাক্ত অবস্থায় দু’ জনের দেহ উদ্ধার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বৈশিঙ্গা থানা এলাকার ধোনাপাল গ্রামে এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনাটি ঘটেছে।ঘটনাটি সামনে আসে বুধবার সকালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে স্থানীয়রা বৃদ্ধ দম্পতি, হাদিবন্ধু সাহু এবং তাঁর স্ত্রী শান্তি সাহু-র মৃতদেহ দেখতে পান। জানা গিয়েছে হাদিবন্ধুর বয়স ৮১, তাঁর স্ত্রী শান্তির বয়স ৭২। বুধবার সকালে স্থানীয়রা বৃদ্ধ দম্পতির রক্তাক্ত দেহ খাটের উপর দেখতে পান। দেখেন দুই মৃত দেহের পাশেই ভাবলেশহীন হয়ে বসে রয়েছেন তাঁদের ছেলে হিমাংশু। হিমাংশুর ময়স বছর ৫৫ বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা নজরে আসার পরেই স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশে। তখনও তাঁদের কাছে পরিষ্কার ছিল না, কীভাবে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গিয়েছে, কে ঘটিয়েছেন?
আরও পড়ুন: গোপনীয়তা বজার রাখতে নতুন শাখা ব্যবহার করেছিল আইএসআই, পহেলগাঁও হামলার তদন্তে জানাল এনআইএ...
খবর পেয়েই পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। হিমাংশুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য বারিপদার পিআরএম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
হত্যা মামলার বিশদ বিবরণ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বিবাদ হয় পেশায় অটো চালক হিমাংশুর। ঝগড়া-বিবাদ এক সময়ে এমন জায়গায় পৌঁছয়, আচমকা পাথর ভাঙার জন্য ব্যবহৃত হাতুড়ি হাতে চুলে নেন ছেলে। সেই হাতুড়ি দিয়েই দিয়ে হিমাংশু তাঁর বাবা-মাকে হত্যা করেছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ জানিয়েছে তেমনটাই।
হিমাংশুর প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, হিমাংশু নিজে বিবাহিত। তবে স্ত্রী-সন্তান হিমাংশুর সঙ্গে থাকতেন না। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা চলছিল। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।

জুন মাসেই ভয়াবহ, নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেছিল জুনের শেষদিকে। পুত্রবধূকে খুন করে ঘরের পাশেই মাটিচাপা দিয়ে দিয়েছিলেন শ্বশুর। হরিয়ানার ফরিদাবাদের ঘটনা।স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবতীর শ্বশুরবাড়ির বাইরে দশফুট গভীর গর্ত থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ২১জুন তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় যুবতীর শ্বশুর স্বীকার করেছেন ধর্ষণ, খুনের কথা।
কিন্তু কেন এই নৃশংস ঘটনা? প্রাপ্ত তথ্য, বিয়ের পর থেকে বারবার ওই যুবতীকে যৌতুক-সহ নানা বিষয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, জেরায় যুবতীর শ্বশুর স্বীকার করেছেন নৃশংস ঘটনার কথা।
পুলিশ সূত্রে খবর, যুবতীকে খুনের পরিকল্পনা সেরে ফেলা হয়েছিল ১৪ এপ্রিল। পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তাঁর শাশুড়িকে পাঠানো হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে। ২১ এপ্রিল রাতে যুবতীর স্বামী নিজের বোন এবং স্ত্রীর খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। দুজনেই দুটি অন্য ঘরে ঘুমোতে যায়।
বেশি রাতে যুবতীর শ্বশুর ঘরে যায় খুনের পরিকল্পনায়। খুনের আগেই বউমাকে ধর্ষণ করে ব্যক্তি। তারপর ঠান্ডা মাথায় খুন করে বউমাকে এবং ছেলের সঙ্গে মিলে দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেয় বাড়ির সামনের গর্তে। তারপরেই আবার থানায় যায়, বউমার নিখোঁজ ডায়েরি করতে।
