সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

কলকাতা | চিতা থেকে ফিরল প্রাণ, শেষযাত্রায় প্রাণের উল্লাস! বিজ্ঞান না অলৌকিক না কি চিকিৎসায় গাফিলতি?

AG | ১৬ জুলাই ২০২৫ ১৬ : ৪৬Arya Ghatak

 

গোপাল সাহা

 কথায় বলে 'রাখি হরি তো মারে কে'। ঠিক তেমনই সম্প্রতি এমন বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বাংলার গ্রাম থেকে শহর বিভিন্ন এলাকা সহ খোদ কলকাতাও। মৃত্যুর পর শবদেহ চিতায় তোলার পরেও বেঁচে উঠে ফিরে এসেছে জীবনের মূল স্রোতে। এমনকি বহু হাসপাতালেও ছোট থেকে বড় বেশকিছু মানুষের চিকিৎসায় মৃত্যু নিশ্চিত করার পরেও প্রাণ ফিরে এসেছে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের। এযাবকালে এ ধরনের ঘটনা সাক্ষী থেকেছে সবাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে। এমন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরাও।

 কিন্তু কেন?

* তবে কি চিকিৎসায় গাফিলতি, নাকি কোন অলৌকিক কান্ড?

* নাকি সবটাই বিজ্ঞানভিত্তিক?

চিকিৎসা বিজ্ঞান ও বিশেষজ্ঞদের মতে এ সবটাই বিজ্ঞানভিত্তিক ও কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার গাফিলতি! এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞদের ও চিকিৎসকদের তথ্য অনুযায়ী। 

দেখে নেওয়া যাক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞদের মতামত :

প্রখ্যাত চিকিৎসক রঞ্জন ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বলেন, "পুনর্জন্ম, অলৌকিক ক্ষমতা ও মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা (Near Death Experience) নিয়ে বহুচর্চিত মতবাদ ও বিশ্লেষণ হয়েছে। বিজ্ঞান এই রহস্য উন্মোচনের প্রচেষ্টা করে চলেছে। চলচ্চিত্রায়নেও দেখেছি মৃত্যুর ঠিক পূর্বেই একটা ফ্ল্যাশব্যাক হয়। খুব দ্রুত আমরা এর থেকে অতীতের 'স্মৃতির সরণী' দিয়ে ফিরে হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই। মস্তিষ্কেও দেখা গেছে পিছনের 'অক্সিপিটাল লোব' থেকে সামনের 'টেম্পোরাল লোব'-এ যথাক্রমে 'অসম্পূর্ণ ' ও 'সম্পূর্ণ' হ্যালুসিনেশন আসে। মূলত 'আনসিনেট প্রসেস' এর অংশে এই সম্পূর্ণ 'ফর্মড' হ্যালুসিনেশন প্রক্রিয়াকরণ ঘটে। 'টেম্পোরাল লোব' হলো স্মৃতিশক্তির সঞ্চয়কক্ষ। এখানে হিপোক্যাম্পাসে জিলিপির প্যাঁচের মতো স্মৃতির ভান্ডার সঞ্চয় হতে থাকে। যতো প্যাঁচ, ততো সঞ্চয়, ততো অক্ষয় হয় স্মৃতি, বারবার পড়াশুনো ঝালাই করার মতো। তাই অলৌকিক ও বিজ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটায় এই টেম্পোরাল লোব।"

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, "দীর্ঘক্ষণ মানবদেহের শারীরবৃত্তীয় বিক্রিয়াগুলিকে শ্লথ করে দিয়ে 'মৃতপ্রায়' পদ্ধতিটি বিজ্ঞানীরা অবলম্বন করে থাকেন জরুরি অস্ত্রোপচারের সময়। কারণ রক্তক্ষরণ কমানো ও সময় 'কিনতে' পারার এটাই সর্বোৎকৃষ্ঠ পন্থা। উদ্ভিদজগতে এই পদ্ধতিটিকে বলে 'ডর্মেসি' ও প্রাণীজগতে 'হাইবারনেশন'৷ মহাকাশচারীদের ক্ষেত্রেও অনুরূপ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।"

"ডায়মন্ড হারবারের তিনশো বছরের পুরনো ভট্টাচার্য পরিবারে দুর্গাপুজো চলে আসছে৷ দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের শ্মশানঘাটে 'বেঁচে' ফিরে আসা হরমোহন ভট্টাচার্যের সত্যঘটনা অবলম্বনে। নিথর হয়ে পড়ে থাকা দেহ  জাগ্রত হয়ে ওঠার ঘটনা ঘটেছিলো ১৯৮৫ সালে। উত্তরপ্রদেশের 'সুমিত্রা সিং হয়ে উঠেছিলো শিবা ত্রিপাঠি'। তাঁর ছিল মৃগীরোগ৷ এই অসুখটি উঠলে 'সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন'এ চলে যেতে পারে মানুষ।"

বলাবাহুল্য, মানবদেহে সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন (Suspended Animation), যাকে ইমার্জেন্সি প্রিজারভেশন অ্যান্ড রিসাসিটেশন (EPR) বা ইনডিউসড হাইপোথারমিয়া নামেও ডাকা হয়৷ এটি একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষের জীবনিশক্তি সাময়িকভাবে ধীর করে ফেলা হয়, যাতে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজনীয় সময় পাওয়া যায়। এই প্রক্রিয়ায় শরীরকে দ্রুত ঠান্ডা করা হয়। সাধারণত রক্তের পরিবর্তে বরফ-ঠান্ডা স্যালাইন সলিউশন প্রবাহিত করে, ফলে শরীরের অক্সিজেন চাহিদা কমে যায় এবং কোষীয় কার্যকলাপ ধীর হয়ে যায়।

মানবদেহে সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশনের মূল দিকগুলো:

● ইনডিউসড হাইপোথারমিয়া:

মূল কৌশল হলো শরীরকে দ্রুত ঠান্ডা করে হাইপোথারমিক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া, যেখানে দেহের তাপমাত্রা কমে প্রায় ১০–১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫০–৫৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত নেমে আসে।

● জৈবিক কার্যক্রম ধীর করে দেওয়া:

এই ঠান্ডাজনিত অবস্থায় শরীরের বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, ফলে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যায় এবং কোষগুলো ধীরে কাজ করতে শুরু করে।

● চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত সময় পাওয়া:

এই ধীর জৈবিক অবস্থার ফলে চিকিৎসকরা জটিল ও সময়সাপেক্ষ অস্ত্রোপচার করতে সক্ষম হন, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে যাদের স্বাভাবিকভাবে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি খুব বেশি।

● সম্ভাব্য ব্যবহারক্ষেত্র:

গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের চিকিৎসা

 হঠাৎ মৃত্যু (sudden cardiac arrest)-এর সময় চিকিৎসা

এমন অস্ত্রোপচার, যেখানে সাময়িকভাবে রক্তপ্রবাহ বন্ধ রাখতে হয়

● নৈতিক দিক ও উদ্বেগ:

এই প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে রোগীর সম্মতি না থাকা অবস্থায় এটি প্রয়োগ করা কতটা নৈতিক, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

বর্তমান গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল:

● ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল:

মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি ও পিটসবার্গ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বর্তমানে EPR নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করছেন।

● FDA অনুমোদন:

FDA (Food and Drug Administration) এই ট্রায়ালগুলো অনুমোদন করেছে, যেখানে শুধুমাত্র সেইসব রোগীদের উপর পরীক্ষা চলছে যাদের আর কোনো চিকিৎসার উপায় নেই এবং যেখানে পরিবারের সম্মতি নেওয়া হয়েছে।

● দীর্ঘমেয়াদী সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশনের সম্ভাবনা:

গভীর মহাকাশ ভ্রমণ কিংবা ক্রায়োনিকস (দেহ সংরক্ষণ করে ভবিষ্যতে জীবিত করা) -এর ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তি দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা চলছে।

সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশনের জন্য প্রস্তাবিত চিকিৎসা পদ্ধতি:

এই পদ্ধতি মূলত গুরুতর আহত রোগীদের ওপর প্রয়োগ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে—যেমন

* ছুরি বা গুলি লেগে গভীর ক্ষত হয়েছে এমন রোগী, অথবা যাদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে এবং পালস নেই, তাদের এই পরীক্ষামূলক চিকিৎসার আওতায় আনা হয়।

* প্রথমে সরাসরি অ্যাওর্টা (হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত সরবরাহকারী প্রধান ধমনী) তে একটি বড় টিউব প্রবেশ করানো হয়।

* মস্তিষ্ক সাধারণত ৪ থেকে ৫ মিনিটের বেশি রক্ত চলাচল বন্ধ থাকলে টিকে থাকতে পারে না, তাই প্রথমেই ঠাণ্ডা লবণাক্ত দ্রবণ সরাসরি হৃদয় হয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে দেওয়া হয়।

* এরপর সেই ঠাণ্ডা লবণ দ্রবণ ধীরে ধীরে শরীরের বাকি রক্তের জায়গা দখল করে নেয়।

* এই অবস্থায় চিকিৎসকদের দুই ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের ট্রমা বা গভীর জখম সারাতে হয়, কারণ শরীর দুই ঘণ্টার বেশি হাইপোথার্মিক (অত্যন্ত ঠাণ্ডা) অবস্থায় থাকতে পারে না।

* এরপর লবণ দ্রবণের পরিবর্তে আবার রক্ত শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

* যদি হৃদপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে নিজে থেকে কাজ না শুরু করে, তাহলে হার্ট-লাং বাইপাস মেশিনের মাধ্যমে হৃদপিণ্ডকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়।

এই পদ্ধতি প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে ২০০০ সালে পিটার রি নামক চিকিৎসক ৪০টি শূকরের ওপর প্রয়োগ করেন। শূকরগুলোর দেহে ট্রমার মতো অবস্থা কৃত্রিমভাবে তৈরি করে শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।

ফলাফল হিসেবে দেখা যায়, পরীক্ষামূলক গ্রুপের ৯০% শূকর বেঁচে যায়, এবং তারা শারীরিক বা মানসিকভাবে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। 
অন্যদিকে, যেসব শূকর এই পদ্ধতির আওতায় আসেনি, তারা সবাই মারা যায়।

 'সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন'  কি কি কারণে হয় এবং কাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় :

চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের মতে এ ধরনের ঘটনা মূলত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি হয় কারণ তাদের ক্ষেত্রে পালস্ ঠিকমত পাওয়া যায় না কিংবা চোখেও ঠিকমতো ধরা পড়ে না। এছাড়াও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বা জলে ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করার পর অনেক সময় তাদের পালস্ পাওয়া যায় না। যাকে বলা হয় সাসপেন্ডেন্ট অ্যানিমেশন। একে এক ধরনের কোমা স্টেজ ও বলা যেতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক ক্ষেত্রেই পালস্ না পাওয়ার কারণে অর্থাৎ হার্ট আরেস্ট হলেও ব্রেন কাজ করে। আর সেই সময় অনেক ক্ষেত্রেই ডায়াগনোসিসের অভাবের কারণে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গ্রামে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। তার মূল কারণ সেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডিপ্লোমা চিকিৎসক বা কোয়াক চিকিৎসক হওয়ার কারণে তাঁরা এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের রোগীদের ঠিকমতো ডায়াগনোসিস করতে সক্ষম হন না। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকও ভুল করে থাকেন কারণ গ্রামাঞ্চলে ইসিজি করার বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা হার্টবিট মাপার বৈদ্যুতিক যন্ত্র না থাকায় বিষয়টি ঠিকমত প্রকাশ্যে আসে না কিংবা সঠিক ডায়াগনসিসের অভাবে নিয়ম মতো তিন থেকে চার ঘন্টা বাদে বিজ্ঞানসম্মতভাবে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বলাবাহুল্য এই সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশনে টেথোস্কোপ দিয়ে পর্যন্ত হার্টের অর্থাৎ হৃদ যন্ত্রের কম্পন বুঝে উঠতে পারে না চিকিৎসকরা এবং তখনই এ ধরনের ভুলের ঘটনা ঘটে যায়। সাসপেন্ডেড এনিমেশনের ক্ষেত্রে এই ঘটনার শিকার পূর্বেও দেখা গেছে। বর্তমানেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে, যাকে 'অ্যাপারেণ্ট ডেথ' ও বলা হয়। যা শুধু গ্রামেও নয় শহর কলকাতাতেও প্রায়শই ঘটে থাকে দাবি চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের। 

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে এই সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশনে ক্লিনিকল ডেথ হলেও ব্রেন ডেথ হয় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সেই ব্যক্তিকে মৃত ভেবে নিয়ে সৎকার করতে যাওয়ার সময় আগুনের তাপ পেয়ে তারা তাদের মস্তিষ্কের জাগরণ বা চেতনা ফেরার কারণে হৃদ স্পন্দন ফিরে পায় এবং তখনই সে ফিরে আসে পুনরায় জীবদ্দশায়। এটি কোনোভাবেই অলৌকিক কোনো ঘটনা নয়, এটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত। একই সঙ্গে ডায়াগনসিসের গাফিলতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। 

এ বিষয়ে আমাদের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছিলেন দুই প্রখ্যাত চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস ও সত্যম চক্রবর্তী সঙ্গে। ফরেনসিক চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, "শহর কিংবা গ্রামে এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। মূলত বেশি করে সদ্যোজাত শিশুদের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে কারণ তাদের ঠিকমতো পালস্ ও চোখের দৃষ্টি (রেসপিরেটরি সাউন্ড) ঠিকমত পাওয়া যায় না। ফলে ডায়াগনোসিসের একটা বিরাট ঘাটতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে যা একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত। এছাড়াও জলে ডুবে যাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এবং বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে  সাসপেন্ডেন্ট অ্যানিমেশন বলে। আর এই ক্ষেত্রে হৃদ যন্ত্রের কম্পন ঠিকমতো অনুভব করা যায় না আর তখনই চিকিৎসকরা ভুল করে বসেন। এখানে অলৌকিক ঘটনার বিন্দুমাত্র কোনও বিষয় নেই।"

এন্ড্রোক্রোনোলজিস্ট চিকিৎসক সত্যম চক্রবর্তী বলেন, "চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় 'সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন'। যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক বা বিজ্ঞানসম্মত। এখানে কোনও অলৌকিক বিষয়ের স্থান নেই। ভুল ডায়াগনসিস এর কারণে এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটে যা অতীব মর্মান্তিক এবং বিপজ্জনক। তাই ডায়াগনোসিস আরও সচেতনতার সঙ্গে হওয়া উচিৎ"

 তিনি আরো বলেন, "তবে গ্রামের দিকে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, কারণ প্রকৃত হৃদ স্পন্দন মাপার বৈদ্যুতিক যন্ত্র না থাকার কারণে এ ধরনের ভুল হয়ে থাকে। আর গ্রামে প্রকৃত চিকিৎসক না থাকার কারণে এ ধরনের ভুল বেশি হয় যা একেবারেই অসংবেদনশীল।"


নানান খবর

যাদবপুরের ছাত্রী-মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়, অভিযোগ দায়ের পরিবারের! 

বিদ্যুৎবিভ্রাট নাকি অন্য কিছু? সপ্তাহের প্রথম দিনেই থমকে গেল মেট্রো চলাচল, ব্যাপক ভোগান্তি যাত্রীদের

কলকাতায় মেট্রোতে বাড়ছে নিরাপত্তা, দক্ষিণেশ্বরের ঘটনার পর ৮০০ অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা

এসএসসি দিলেন বহিস্কৃত তৃণমূল নেত্রী রাজন্যা হালদার

আরও উন্নত বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ অ্যান্ড্রোথ পেল ভারতীয় নৌসেনা, হস্তান্তর করল কলকাতা গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স

আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু মালদহে, খুন না কি আত্মহত্যা? প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

গল্ফগ্রিনে চরম চাঞ্চল্য, বাড়ি থেকেই উদ্ধার বৃদ্ধের মৃতদেহ, আটক জামাই

দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে খুনের পিছনে ছিল না কোনও প্রণয়ঘটিত বিষয়, অভিযুক্তকে জেরা করে আসল কারণ জানতে পারল পুলিশ

প্রস্রাবের শহর: লজ্জা! অভিনব সমাধানে নতুন পদক্ষেপ, রেকর্ড নথিভূক্ত হবে আধার কার্ডে!

মেট্রো স্টেশনে সহপাঠীকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, হাওড়া স্টেশন থেকে ধরা পড়ল অভিযুক্ত

খাস কলকাতায় হাড়হিম কাণ্ড! মদ্যপানে প্রতিবাদ করায় যুবকের চরম পরিণতি, তদন্তে কলকাতা পুলিশ

মায়ানমারের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কো কো উ'র পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সদর দপ্তর সফর

নভেম্বরে মেট্রোর কাজের জন্য দু’‌ধাপে ট্রাফিক ব্লক নেওয়া হবে চিংড়িঘাটায়, যানজট সামলানোর জন্য শনিবার মহড়া সেরে নেওয়ার পরিকল্পনা

আসছে পুজো, মেট্রোয় পকেটমার ও মোবাইল চোরদের দৌরাত্ম রুখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হল জেনে নিন এখনই 

‘শীঘ্রই চোখে পড়বে উন্নতি’, ব্লু লাইনে নিত্যদিনের সমস্যা, মেট্রো জানাল ৩২টি ট্রেন চলবে টালিগঞ্জ পর্যন্তই

গণপিটুনির হার বৃদ্ধি, আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা, ক্রোধ এবং হিংসার বহিঃপ্রকাশ না কি সামাজিক বিকৃতি?

বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে আগুন, বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা

নেপাল 'বিপ্লবের' আগুনে 'পুড়ছে' সোনাগাছি! আতঙ্কে যৌনকর্মীরা 

নাবালিকাদের দিয়ে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ, পুলিশ হাতেনাতে ধরল ছ’‌জনকে

মাঝ রাতে কার সঙ্গে কথা বলে মা? ফোনেই সারাক্ষণ ব্যস্ত, সন্দেহ হয়েছিল দুই ছেলের, ফাঁকা বাড়িতে শেষমেশ ভয়ঙ্কর কাণ্ড

হাসপাতালে অস্থায়ী ওয়ার্ড গার্লকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ফেসিলিটি ম্যানেজার 

‘লাল শাড়ি’তে মজে ১৮ থেকে ৮০, কতটা সুরক্ষিত জেমিনির ন্যানো বানানা ট্রেন্ড?

শুধু পাক ক্রিকেটার নন, আরও দু’‌জনের সঙ্গে হাত মেলাননি সূর্যরা, তারা কারা জানুন 

বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি! ৪০-এর কোঠায় এসে কাকে মন দিলেন অভিনেত্রী? 

শাহরুখের হাতে প্রথম জাতীয় পুরস্কার, সেই সম্মানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন মনোজ!

'কুত্তা' সম্বোধন করে কটুক্তি বসের, অপমানে আত্মঘাতী তরুণী, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ আদালতের

মোটাদের চেয়েও মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি অতিরিক্ত রোগা চেহারায়! গবেষণায় উঠে এল ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা

কাল এএফসিতে যাত্রা শুরু, সমর্থকদের জন্য বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের

৩০ লিটার স্তন্যদুগ্ধ দান করেছেন জ্বালা, এই ঘটনা আপনার চোখেও জল আনবে 

এশিয়া কাপে দুরন্ত ছন্দে সূর্যকুমারের ভারত, পরবর্তী ওমান ম্যাচে কি নামবেন বুমরাহ?

পন্থ কবে মাঠে ফিরবেন?‌ এল টাটকা আপডেট

যৌনকাতর স্ত্রীর অতীত জানতেন না স্বামী, বন্ধুদের ব্যাচেলর পার্টি দিতে গিয়ে যা দেখলেন... পাল্টে গেল সব

একটানা হেঁচকি উঠেই চলেছে? নুন-চিনি-লেবু দিয়েই সারিয়ে নিন নিমেষে, কী ভাবে জানুন

ক্লাস শেষ হলেও ছাত্রীকে আটকে রাখত, ফাঁকা ঘরে লাগাতার যৌন হেনস্থা শিক্ষকের! স্কুলে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ফাঁস দশম শ্রেণির ছাত্রীর

ভারত কেন হ্যান্ডশেক করল না, পাকিস্তান এবার এই বিষয়টাই বহু দূর নিয়ে যাচ্ছে

পাকিস্তানের সঙ্গে করমর্দন করেনি ভারত, কী শাস্তি পাবেন সূর্যকুমাররা?

বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ ৩ জন

এশিয়া কাপে সুযোগ না পেলেও বড় পুরস্কার পেলেন সিরাজ

প্লাস্টার-অপারেশন নয়, মাত্র ৩ মিনিটে ভাঙা হাড় জোড়া লাগাবে ‘আঠা’! যুগান্তকারী আবিষ্কারে অবাক করলেন বিজ্ঞানীরা

‘ছাভা’র পর বড়পর্দায় ফের মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি নিয়ে ফিরছেন পরিচালক, ‘পেত্নী’র পর এবার কোন কিংবদন্তির চরিত্রে শ্রদ্ধা?

প্রেম, প্রতিশোধ আর প্রাক্তন! নানান সুগন্ধি মশলায় ভরপুর ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’র ঝাঁঝালো ট্রেলার!

হেঁশেলে নুন-লঙ্কা একসঙ্গে রাখা কি আদৌ ঠিক? বাস্তু কী বলছে জানুন, না হলে কাঙাল হতে হবে

চন্দননগরে শোভাযাত্রা রুটে উচ্ছেদ অভিযান, জেসিবি মেশিন দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল একের পর এক বেআইনি নির্মাণ

সোশ্যাল মিডিয়া