আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুমন তো সেই কবেই লিখে দিয়েছেন চুমুতে চুমুতে ব্যারিকেড গড়ার কথা। কিন্তু শুধুই কি ব্যারিকেড-বিদ্রোহ? জানেন কি চুম্বনের সময় শারীরিক ভাবেও নানান বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে দেহে? ছোট্ট একটি চুম্বনের সঙ্গে সঙ্গেই পুরুষের শরীরে আস্ত এক রাসায়নিক ঝড় শুরু হয়ে যায়। বিষয়টি মোটেই শুধু আবেগের খেলা নয়, এর নেপথ্যে রয়েছে হরমোনের ভোলবদলও।
চুমু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা ‘ফিল-গুড’ হরমোন নামে পরিচিত। এটি শরীরে আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে এবং মনকে ফুরফুরে করে তোলে। এর পাশাপাশি ক্ষরিত হয় অক্সিটোসিন। অক্সিটোসিন ‘লাভ হরমোন’ নামে খ্যাত। এই হরমোনের প্রভাবে সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস এবং মানসিক টান বেড়ে যায়।
তবে শুধু আনন্দের হরমোনই নয়, চুমু মানসিক চাপ কমাতেও অব্যর্থ। মানসিক চাপের মূল কারিগর কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন। চুমু খেলে এই হরমোনের মাত্রা কমে। ফলে মানসিক চাপও লাঘব হয়। চুম্বনকালে একইসঙ্গে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এর ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, যা শরীরে একটা হালকা উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
 
 কিছু গবেষণায় এও দেখা গেছে যে, চুম্বনের সময় পুরুষের লালার মাধ্যমে সামান্য টেস্টোস্টেরন সঙ্গিনীর শরীরে প্রবেশ করে, যা তাঁদের মিলনাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করতে পারে।
