নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: Syamasri Saha ২৯ মে ২০২৫ ২১ : ৪৮Akash Debnath

আজকাল ওয়েবডেস্ক: কাঠবাদামের দুধ বা আমন্ড মিল্ক আজকাল বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্ভিদ-ভিত্তিক পানীয়। বিশেষ করে যাঁরা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট অর্থাৎ গরুর দুধ সহ্য করতে পারেন না তাঁদের জন্য এটি একটি দারুণ বিকল্প। দাম কিছুটা বেশি হলেও কাঠবাদামের দুধের অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে।

১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: কাঠবাদামের দুধে ক্যালোরির পরিমাণ গরুর দুধের চেয়ে অনেক কম থাকে। এক কাপ কাঠবাদামের দুধে সাধারণত মাত্র ৩০-৫০ ক্যালোরি থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। যাঁরা ক্যালোরি মেপে খাবার খান, তাঁদের জন্য এটি খুবই উপকারী।

২. হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নতি: কাঠবাদামে প্রাকৃতিকভাবে খুব বেশি ক্যালসিয়াম থাকে না, কিন্তু বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ভাবে বাজারজাত কাঠবাদামের দুধে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম যোগ করা হয়। এই দু’টি উপাদানই হাড়ের স্বাস্থ্য, ঘনত্ব ভাল রাখতে এবং অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত কাঠবাদামের দুধ পান করলে হাড় মজবুত থাকে।

৩. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: কাঠবাদামের দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে না। উল্টে এতে স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন ই-এর একটি ভাল উৎস, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

৪. ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায়: কাঠবাদামের দুধ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বককে মসৃণ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৫. ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা: যাঁরা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট, অর্থাৎ গরুর দুধে থাকা ল্যাকটোজ হজম করতে পারেন না, তাঁদের জন্য কাঠবাদামের দুধ একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এটি ল্যাকটোজ-মুক্ত হওয়ায় পেটে ব্যথা, ফোলাভাব বা গ্যাসের মতো সমস্যা তৈরি করে না।