আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বর্তমান সময়ে বাতাসের দূষণমাত্রা প্রায়ই নিরাপদ সীমার বেশি থাকে। ফলে দিন দিন বাড়ছে স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা। যার মধ্যে অন্যতম হাঁপানি। ফুসফুসের এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং আরও অনেক শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালে বাতাসে ধুলো, পরাগরেণু এবং অন্যান্য বায়ুবাহিত অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসার কারণে এই সময়ে হাঁপানির লক্ষণগুলি বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সঠিকভাবে সতর্কতা অবলম্বন করলে সুস্থ থাকা সম্ভব। যার জন্য রোজের রুটিনে কয়েকটি অভ্যাস মেনে চলা জরুরি।
* কারণ জানুনঃ কারও কোনও খাবার, কারওর ধুলোবালি, আবার কেউ পোষ্য প্রাণীর গায়ের রোম কিংবা রাসায়নিক পদার্থের ধোঁয়া লাগার কারণে হাঁপানির সমস্যা বাড়ে। তাই আপনার ঠিক কী থেকে হাঁপানি হচ্ছে তার কারণ চিহ্নিত করা জরুরি। আর সেই কারণগুলি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। 
 
 * স্বাস্থ্যকর ডায়েটঃ অ্যাজমা রোগীদের ডায়েট ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। এই ধরনের ডায়েট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং যে কোনও ধরণের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ভাইরাল সংক্রমণ অর্থাৎ যা থেকে অ্যাজমা হওয়ার ঝুঁকি থাকে তা প্রতিরোধ করতে পারবেন। 
 
 * নিয়মিত শরীরচর্চাঃ অ্যাজমার সমস্যায় অল্প শারীরিক পরিশ্রম করলেই বেশি ক্লান্তি আসে। সেক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। সাঁতার কাটা, যোগ ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটির মতো মাঝারি পরিশ্রমের ব্যায়াম করলে উপকার পাবেন। তবে বাইরে শরীরচর্চা এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে যে সময় বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি থাকে সেই সময়ে ঘরের মধ্যে ব্যায়াম করুন। 
 
 * মানসিক চাপ কমানঃ মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা থেকে হাঁপানির কষ্ট বাড়তে পারে। তাই হাঁপানির রোগীদের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন।
 
 * ধূমপান বর্জনঃ সিগারেটের ধোঁয়ায় প্রায় ৪০০০ রাসায়নিক থাকে যা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। এর মধ্যে ৫০টিরও বেশি কার্সিনোজেনিক হতে পারে। তাই হাঁপানি রোগীদের ধূমপান সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা উচিত। 
 
 * সময়মতো টিকা নিনঃ ভাইরাল সংক্রমণ হাঁপানির কারণ হতে পারে। তাই সময় মতো টিকা নিলে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। 
 
 * ইনহেলার ব্যবহার করুনঃ ইনহেলার হল হাঁপানির প্রধান ওষুধ। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ইনহেলার নেওয়া উচিত। মনে রাখবেন, হাঁপানি একবার কমে গেলেও ফের হতে পারে। তাই ইনহেলার নেওয়া বন্ধ করবেন না।
