আজকাল ওয়েবডেস্ক: মণিপুরে সমস্ত সম্প্রদায়ের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশকে প্রত্যাখ্যান করেছে কুকি সংগঠন, কমিটি অন ট্রাইবাল ইউনিটি (COTU)। গত সপ্তাহে মণিপুরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার সময় শাহ বলেছিলেন যে, "যে কেউ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে চাইবে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হওয়া জাতিগত হিংসা মণিপুরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে, যেখানে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়গুলি নিজেদের এলাকা দাবি করছে।

গত ৪ মার্চ COTU একটি সভায় অন্তত আটটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কুকি-জো এলাকায় অবাধ চলাচল বন্ধ রাখা। তাঁরা জানিয়েছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত কুকি সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান করে কোনো সমাধান না পাওয়া যায়, ততক্ষণ অবাধ চলাচল চালু করা সম্ভব নয়।

সংগঠনটি আরও বলেছে যে কুকি-জো সম্প্রদায় একটি পৃথক প্রশাসন তৈরির দাবিতে আপস করবে না, এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে কুকি-প্রধান এলাকার জন্য একটি পৃথক প্রশাসন তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।

COTU ঘোষণা করেছে যে, পৃথক অঞ্চল দাবির জন্য তাঁরা "গণসমাবেশ, প্রতিবাদ ও গণতান্ত্রিক প্রতিরোধের মাধ্যমে" লড়াই চালিয়ে যাবে। তাঁরা আরও জানিয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি যদি ব্যক্তিগত স্বার্থকে সমষ্টিগত স্বার্থের উপরে রাখে বা সরকারের সাথে সহযোগিতা করে, তাঁকে "বিশ্বাসঘাতক" হিসেবে গণ্য করা হবে।

COTU-এর বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মেইতেই সংগঠনগুলির একটি সমন্বিত ফোরাম, কোঅর্ডিনেশন কমিটি অন মণিপুর ইউনিটি (COCOMI), COTU-এর মন্তব্যকে "উসকানিমূলক এবং উত্তেজনামূলক" বলে আখ্যা দিয়েছে।

এদিকে, ময়ানমারের সাথে ১,৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তের প্রবেশপথগুলিতে বেড়া দেওয়ার অমিত শাহের নির্দেশ মিজো, নাগা ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের নতুন করে প্রতিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।