শনিবার ০৩ মে ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

রাজ্য | বাবা-মা দৃষ্টিহীন, ট্রেনে ভিক্ষে করে সংসার চলে, পুলিশ কর্মীর সাহায্যে মাধ্যমিকে বসল মেয়ে 

Riya Patra | ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৪ : ২৩Riya Patra


মিল্টন সেন,হুগলি: মাধ্যমিক মানেই পড়ুয়ার জীবনে প্রথম বড় পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা দিতে যাওয়ায় আগে কিছুটা ভয়, কিছুটা উৎকন্ঠা কাজ করছিল স্নেহা হালদারের। পাশে দাঁড়াল পুলিশ মামা সুকুমার। চুঁচুড়া চকবাজারের বাসিন্দা স্নেহা হুগলি গার্সল স্কুলের ছাত্রী। বাড়ির কাছের স্কুলে এতদিন পড়াশোনা তার। মাধ্যমিকের সিট পড়েছে শিক্ষা মন্দির স্কুলে। সেই স্কুল বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে।

কীভাবে পরীক্ষা দিতে যাবে? তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল। স্নেহার মা শিবানী বাবা মৃত্যুঞ্জয় হালদার। দুজনেই দৃষ্টিহীন। ট্রেনে ভিক্ষা করে জীবন যাপন করেন। তাদেরই পথ চলতে মেয়ের সাহায্য নিতে হয়। মেয়েকে সাহায্য করার ইচ্ছে থাকলেও অপারগ তাঁরা।  দুশ্চিন্তায় ছিলেন মেয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে। পাশে থেকে যাবতীয় সাহায্য করে দৃষ্টিহীন দম্পতির দুশ্চিন্তা দূর করলেন পুলিশ কর্মী সুকুমার উপাধ্যায়।

সুকুমার চন্দননগর কমিশনারেটের কনস্টেবল পদে কর্মরত। স্নেহার মাধ্যমিক পরীক্ষা, তাই তাকে বোর্ড পেন থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দিয়েছেন তার পুলিশ মামা। রবিবার স্নেহাকে বাইকে বসিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র দেখিয়ে নিয়ে আসেন সুকুমার। যদি স্নেহাকে এক একা যেতে হয়, তাই তার জন্য শ' দুয়েক টাকাও দেন তার হাতে। পুলিশের কাজে ছুটি নেই। কখন কোথায় যেতে হয়। তাই স্নেহাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেও ভাবনায় থাকেন যদি সময়ে যেতে না পারেন, যদি কাজ পরে যায়! তবে এদিন প্রথম পরীক্ষার দিন দূরে কোথাও কাজ পড়েনি।

তাই সুকুমার স্নেহাকে নিয়ে সকাল সকাল পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। আর সময় মতো পুলিশ মামার বাইকে পরীক্ষা দিতে গিয়ে খুশি স্নেহা। পরীক্ষায় ভালো ফল করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় সে। মা-বাবার সহায় হতে চায়। ভাইকে বড় করতে চায়। যে কষ্ট তাদের জন্য মা বাবা করছেন তাদের জন্য কিছু করতেই হবে তাকে। সেই লক্ষে এগিয়ে যেতে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা ভাল করে দিতে দিতে চায়। এদিন তার মা শিবানী হালদার বলেছেন, তিনিও মাধ্যমিক পাশ করেছেন। ইচ্ছা থাকলেও উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাননি। তাই তিনি চান মেয়ে যতদূর চায় পড়ুক। সুকুমার তাঁদের কাছে শুধু একজন পুলিশ কর্মি নন, স্নেহার মামা। তাই তার উপকার কোনও দিন তিনি ভুলতে পারবেন না। 
ছবি পার্থ রাহা।


Madhyamik Parikshahooghly

নানান খবর

নানান খবর

বিদ্যালয়ে প্রথম, জেলায় ছাত্রীদের মধ্যে সেরা, তবু মেধাবী থৈবির জন্য কাঁদছে স্কুল ও পরিবার

 সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের জের, শহর কলকাতার এই রেস্তোরাঁগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিল পুরসভা

গঙ্গার ইলিশের সঙ্গে এবার বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে গঙ্গার গলদা চিংড়ি

ভাল রেজাল্ট হবে তো? ফল প্রকাশের কিছুক্ষণ আগেই চরম সিদ্ধান্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর

স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পালন চন্দননগরে, শহরকে হেরিটেজ ঘোষণার উঠল দাবি

মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফরে বড়সড় বদল, নতুন সফরসূচি জানিয়ে দিল প্রশাসন

বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত কৃষক উকিল বর্মন, বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলেন রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি

শুধু সি-ফেসিং নয়, হোটেল হতে হবে মন্দির-ফেসিং, দিঘায় তুঙ্গে চাহিদা

বিজেপি বনাম বিজেপি, পশ্চিম মেদিনীপুরের রাস্তায় দুই গোষ্ঠীর মারপিট

আইএসসি পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় ও পঞ্চম স্থানে কোচবিহারের আত্রেয়ী-অনুষ্কা

আইসিএসই পরীক্ষায় ৯৯.‌০৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিল হুগলির পড়ুয়া

অনুষ্ঠানে গিয়ে আচমকা অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি সাংসদ সৌগত রায়

সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই শুরু হল তুমুল বাগবিতণ্ডা, সাংসদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বিদায়ী সভাপতির

'ভগবানের কাছে এসেছি, যাঁরা বুঝতে পারছেন না ভগবান তাঁদের সুমতি দিন', দিঘায় জগন্নাথধাম দর্শনের পর জানালেন দিলীপ

স্ত্রীকে খুনের পর দুই শিশু সন্তানের গলায় ভোজালি ধরে ঘরবন্দি, ঘটনা হার মানাবে ক্রাইম থ্রিলারকেও

সোশ্যাল মিডিয়া