
সোমবার ০৫ মে ২০২৫
নিজস্ব সংবাদদাতা: বরাবরই তিনি স্পষ্টবক্তা, খানিক প্রচারবিমুখ এবং অল্প কথায় জোরালোভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করায় বিশ্বাসী। তিনি, অভিনেতা ঋষভ বসু। টলিপাড়ার অত্যন্ত পরিচিত মুখ ঋষভ। হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের সিরিজ ‘শ্রীকান্ত’তে ঋষভ-সোহিনীর রসায়ন হইহই ফেলে দিয়েছিল একসময়। গত বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেশকে গর্বিত করেছেন ভারতের দুই কন্যা অনসূয়া সেনগুপ্ত ও পায়েল কাপাডিয়া। প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে ‘আন সার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন কলকাতার মেয়ে অনসূয়া সেনগুপ্ত। সমাজমাধ্যমে তাঁদের নিয়ে বয়ে গিয়েছিল উচ্ছ্বাসের বন্যা। সেই সময় ইন্ডাস্ট্রিকে কটাক্ষ করে সমাজমাধ্যমে ঋষভ দাবি করেছিলেন, আজ যাঁরা বলছেন যোগ্যতার দাম পেয়েছেন অনসূয়া বা পায়েলরা, তাঁরাই আসলে নতুন শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে চান না। এবারে ফের একবার সমাজমাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। নিজের নাম অথবা নিজের অভিনীত ছবি'র নাম না তুলে আকার-ইঙ্গিতে সেই ছবির পরিচালক ও প্রযোজনা সংস্থাকে একহাত নিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে ঋষভ লিখেছেন,
“REST IN PEACE
বাংলা সিনেমা
একজন শিল্পীকে দিয়ে অভিনয় করিয়ে তারপর তাকে দিয়ে Dubbing করিয়ে, শেষমেশ সিনেমায় তার গলা পাল্টে অন্য একজনের গলা ব্যাবহার করে (যেটা তার অভিনয়ের সাথে sync হয় না) তার অভিনয়কে ধ্বংস করে দেওয়া হয় এবং সেই শিল্পীর সম্মতি তো দূরের কথা, তাকে জানানো পর্যন্ত হয় না। এবং সেই শিল্পীর তার নিজের অভিনীত ছবি দেখে চমকে ওঠে, কারণ অন্য কেউ Dub করায়, তার অভিনীত চরিত্রটি অসহ্য লাগে সবার।
কেউ কেউ বলতে পারেন সে তো অপরাজিত সিনেমায় মূল অভিনেতার গলা Dub করেছিলেন অন্য কেউ, কিন্তু সেটা চরিত্র এবং সিনেমার প্রয়োজনে এবং অভিনেতার সম্মতি নিয়ে। তবে এক্ষেত্রে কোনো লজিক নেই, শুধু ইচ্ছে হয়েছে বলে করেছে এবং অভিনেতা কে সেটা জানানোর প্রয়োজনও মনে করেনি কেউ, জিজ্ঞেস করলে সবাই শুধু বলছে এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। এইরকম UNETHICAL ও মেরুদন্ড হীন আচরণের পর এঁরা মনে করেন মানুষ এদের বাংলা সিনেমা দেখবেন।
PAINFUL”
আজকাল ডট ইন-কে ঋষভ জানিয়েছেন, তাঁর অভিযোগের তীর নিজের-ই অভিনীত ছবি ‘যদি এমন হতো’ পরিচালক রবীন্দ্র নাম্বিয়ার এবং প্রযোজনা সংস্থা এসকে মুভিজের বিরুদ্ধে! ঋষভ বলেন, “ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। সেইদিন ‘যদি এমন হতো’র প্রিমিয়ারে আমি সপরিবারে হাজির হয়েছিলাম। প্রিমিয়ারে গিয়ে এই ছবি দেখাকালীন আবিষ্কার করি, আমার গলায় অন্য কারও কণ্ঠে ডাবিং করানো হয়েছে। অথচ এর বিন্দুবিসর্গ আমি জানতাম না। আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়নি, কিছু বলা হয়নি। আমার পাশে বসা দিতিপ্রিয়া-ও বিষয়টি লক্ষ্য করে আমাকে জিজ্ঞেস করে। কী জবাব দেব, নিজেই তো জানি না।”
খানিক থেমে তিনি আরও বলেন, “পর্দায় অন্যের কণ্ঠ আমার গলায় বসানো হচ্ছে তাতে যদি ছবিটির মান উন্নত হতো তা-ও না হয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম। উল্টে দেখি, মান পড়েছে। আমার অভিনয়-ই পর্দায় দেখতে নিজের অসহ্য লাগছে। শো শেষ হওয়ামাত্রই পরিচালককে জিজ্ঞেস করি, এহেন সিদ্ধান্তের কথা। জবাব আসে, ‘ইট ওয়াজ নট মাই কল!’ এরপর এসকে মুভিজ-এর হিমাংশু ধানুকাকে একাধিকবার ফোন করেছি, কেউ ফোন তোলেননি। এতটা মেরুদণ্ডহীন আচরণ সবার! একটা কথা বলতে চাই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই, দীর্ঘবছর এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি কেউ কোনওদিন আমার উচ্চারণ, বাচনভঙ্গি, ডাবিং -কোনওকিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি সেভাবে। সেখানে এই কাণ্ড!” আফসোস, বিরক্তি, হতাশা, ক্ষোভ— সব একাকার অভিনেতার গলায়। ছবিতে ঋষভের গলায় কার কণ্ঠ শোনা গিয়েছে? ছোট্ট করে জবাব এল, “আরিয়ান ভৌমিকের।”
“জানেন, হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তার তিনদিন পর থেকে এই ছবির ডাবিং করা শুরু করেছিলাম রেকর্ডিং স্টুডিওতে গিয়ে। এক পা তুলে, হেলে বসে কীভাবে ডাব করেছি, সেসব বলে আমি সহানুভূতি আদায় করতে চাই না। কিন্তু চেষ্টা তো করেছি একজন নিখাদ পেশাদারের মতো নিজের সেরাটা দিতে। খারাপ লাগাটা কি আমার সাজে না? আর সর্বোপরি কেন আমার কণ্ঠ পর্দায় শোনা গেল না, সেই কারণটাই তো কেউ স্পষ্ট করে বলছে না আমাকে! এসকে মুভিজের ব্যানারে এই বছর আমার আরও তিনটি ছবি মুক্তি পাবে। ‘সরলাক্ষ হোম’ তার মধ্যে অন্যতম। বড় বাজেটের ছবি, ব্যাপ্তিটাও বড়। সেখানে নিজের কণ্ঠ থাকছেই, তা আমি জানি। বাকি দু'টির কথা জানি না। আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, যদি সেই দু'টি ছবিতে আমার কণ্ঠ না থাকে তাহলে কোনওভাবে সেই প্রজেক্টের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখব না আমি। এটা তো শিল্পী ও শিল্পের দুইয়েরই অপমান।” বক্তব্য, ‘শ্রীকান্ত’ ওয়েব সিরিজের অভিনেতা।
কথাশেষে তাঁর সংযোজন, “আর একটা কথা, ‘জাতিস্মর’-এ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গলায় একটা সময় শোনা গিয়েছিল শ্রীকান্ত আচার্যের স্বর, ‘অপরাজিত’তেও জিতুদার নিজের কণ্ঠ ছিল না। কিন্তু তার ফলে ছবিটা দেখুন কোন পর্যায় গিয়েছিল...ছবির স্বার্থে সব মেনে নেওয়া যায় কিন্তু এখানে আমার ছবিটা তো ধ্বংস হয়ে গেল। আজ আমার সঙ্গে কাল অন্যদের সঙ্গেও হতে পারে। এরকম আচরণের পর এঁরা মনে করেন মানুষ এঁদের বাংলা সিনেমা দেখবেন! রাগ হচ্ছে, অসহায় লাগছে, হতাশ লাগছে।”
প্রসঙ্গত, গত বছর মুক্তি পেয়েছিল ঋষভের অভিনীত ছবি ‘তাহাদের কথা’। তেলুগু ছবিতে পা রেখেছেন ঋষভ। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সায়ন্তন ঘোষালের পরিচালনায় ‘সরলাক্ষ হোম’। ‘শার্লক হোমস’-এর বাংলা সংস্করণ এই ছবি। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন ঋষভ।
'অনুরাগের ছোঁয়া'তে কি আবার ফিরছে 'মিশকা'? মা হওয়ার আগে কাজে ফেরা নিয়ে কী বললেন অহনা দত্ত?
মেয়ে ১৬ পেরোতেই নিজের সঙ্গে খেলতে 'আদর পুতুল' উপহার? বিতর্কে জড়ালেন বলি অভিনেত্রী গৌতমী কাপুর
‘কৃষ ৪’ নিয়ে হাসি হৃতিকের, হাউহাউ কান্না রাকেশের! কেন? গোপন সত্যি ফাঁস হৃতিকের দিদি
হাতেখড়ির আগেই ইয়ালিনির স্কুল শুরু, মাত্র দেড় বছর বয়সেই পিঠে ব্যাগের বোঝা একরত্তির!
প্রথম ভারতীয় ছবি হিসাবে নজির গড়ল 'দেবী চৌধুরানী', আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসিত শুভ্রজিৎ মিত্রর পরিচালনা
Exclusive: ‘অহল্যা দেখে খুশি হতেন, আলাদিন দেখে রেগে যেতেন!’ সত্যজিৎ রায়-কে নিয়ে একান্ত আড্ডায় সুজয় ঘোষ
‘ওদের শিল্পীদের মাথায় তুলে রাখি, আর ওরা?’ পাকিস্তানের ‘ভালবাসা’ নিয়ে তোপ জাভেদ আখতারের
হৃতিকের সঙ্গে রসায়নই হয়েছিল কাল! 'ধুম ২'-এর পর আইনি নোটিশ পেয়েছিলেন ঐশ্বর্য! কী হয়েছিল শুটিং ফ্লোরে?
‘ওঁর পাশে দাঁড়ানো যেত না...’, বাবা বিনোদ খান্নার সঙ্গে অভিনয় না করা নিয়ে বিস্ফোরক অক্ষয়!
‘পহেলগাওঁয়ে প্যান্ট খুলিয়ে ভাষা জিজ্ঞেস করা হয়নি!’ বেঙ্গালুরু অনুষ্ঠান বিতর্ক নিয়ে কেন ফের বিস্ফোরক সোনু?
এবার জমবে সচিবজি ও রিঙ্কির রোমান্স! কার দখলে থাকবে ফুলেরা গ্রাম? প্রকাশ্যে 'পঞ্চায়েত ৪'-এর টিজার
'কোন ভঙ্গিমায় সঙ্গমে লিপ্ত হবেন?' শো চলাকালীন প্রতিযোগীদের অশ্লীল প্রশ্ন! এফআইআর দায়ের আজাজ খানের বিরুদ্ধে
শাক্যজিৎ-আরশির সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে আসছে হিরোর প্রাক্তন প্রেমিকা! গল্পের নতুন মোড়ে এন্ট্রি নিচ্ছেন কোন নায়িকা?
বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা শোভিতা! কবে প্রথম সন্তানের বাবা হবেন নাগা চৈতন্য?
হঠাৎ ধামাকা 'কথা'র সেটে! এভি ও বুলির পাশে দাঁড়ালেন খোদ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়! 'কথা' ধারাবাহিকে আসছে কোন নতুন চমক?