আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সারা দিন চলে ছোটাছুটি, টিভি-মোবাইলে পছন্দের কার্টুন-গেম খেলার আবদার। আর পড়তে বসলেই যত বাহানা! এটা চাই, ওটা চাই-কত্ত কী! ঘরে ঘরে খুদেকে নিয়ে এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন মা-বাবারা। এদিকে পড়াশোনায় মন না বসলে স্কুল থেকে আসতে থাকে অভিযোগের পাহাড়। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে সহজেই আপনার সন্তানের মনসংযোগ বাড়াতে পারেন। 

সন্তানের পড়াশোনার জন্য সবসময় একটি নিরিবিলি জায়গা বেছে নিতে হবে। মনসংযোগ আনার জন্য শান্ত, নিরাবিলি জায়গা সবচেয়ে ভাল। সম্ভব হলে প্রাকৃতিক আলো আসে এরকম জায়গায় বসে শিশুকে পড়াশোনা করাতে পারেন। 

পড়াশোনার জন্য আরামদায়ক চেয়ার এবং টেবিল ব্যবহার করুন। এমন চেয়ার এবং টেবিল রাখতে হবে যেখানে আপনার শিশুর বসতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়। পড়াশোনার সময় ফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপের মতো বৈদ্যুতিন যন্ত্র বন্ধ রাখুন। 

পড়াশোনার জন্য সময়সূচী তৈরি করে দিন। যা শিশুকে অনুসরণ করতে বলুন। প্রতিদিন শিশুর পড়াশোনার জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে দিন। 

টানা পড়াশোনার কিছু সময় পর নিয়মিত বিরতি নিতে দিন। প্রতি ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের বিরতি নিলে শিশুর একঘেয়েমি আসবে না। ‘পোমোডোরো’ কৌশলও ব্যবহার করতে পারেন। পোমোডোরো কৌশলে ২৫ মিনিট কাজ এবং পাঁচ মিনিটের বিরতি নেওয়া হয়।

শিশুর যাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। শরীরে এনার্জি আসে এমন স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করান। কারণ শরীরচর্চা মনোযোগ এবং একাগ্রতা বাড়াতে পারে।

জটিল বিষয় বুঝতে এবং মনে রাখতে শিশুর জন্য আলাদা করে নোটবুক ব্যবহার করুন। শব্দভাণ্ডার বা তথ্য মনে রাখতে ফ্ল্যাশকার্ড ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট নোট লিখে রাখতে পারেন। 

শিশুকে নিয়ে ইতিবাচক থাকুন। কোনও বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে শিশুর শিক্ষক, সহপাঠী বা গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে সাহায্য চাইতে যেন ভয় না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।