আজকাল ওয়েবডেস্ক: রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে এবারই শেষ। আর দেখা যাবে না ঋদ্ধিমান সাহাকে। ক্রিকেটের সব ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন উইকেটকিপার ব্যাটার। রবিবার বেশি রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্টে অবসরের ঘোষণা করেন ঋদ্ধি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ঋদ্ধিমান লেখেন, 'ক্রিকেটে অবিস্মরণীয় যাত্রার পর এটাই আমার শেষ মরশুম হতে চলেছে। শেষবার বাংলার প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি সম্মানিত। রঞ্জি ট্রফি খেলে অবসর নিতে চাই। আমার যাত্রার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি শেষবার বাংলার হয়ে খেলছি। বাংলার জার্সিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে চাই।' বাংলার হয়ে ১৫ বছর খেলেছেন ঋদ্ধি। ২০০৭ সালে প্রথমবার বাংলায় খেলেন। ২০২২ পর্যন্ত দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। মাঝে সিএবির এক কর্তার সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাংলা ছাড়েন। দু'বছর ত্রিপুরার হয়ে খেলেন। সৌরভ গাঙ্গুলির কথায় চলতি মরশুমে আবার বাংলায় ফেরেন। শেষবার বাংলার হয়ে অবদান রাখতে চান। তবে রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা এবার খুব একটা ভাল জায়গায় নেই। নক আউটের রাস্তা কঠিন। বাংলার জার্সিতে বাকি সময়টুকু খোলা মনে খেলে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান দেশের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার। 

ভারতের জার্সিতে বহু বছর খেলেছেন ঋদ্ধিমান। কিন্তু দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন না। আধুনিক ক্রিকেটে দেশের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার হলেও চোটের জন্য বেশ কয়েকবার দলের বাইরে থাকতে হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলেন। জাতীয় দলের হয়ে ৯টি টি-২০ ম্যাচও খেলেন। একটানা খেলেছেন আইপিএলে। কলকাতা নাইট রাইডার্স, পাঞ্জাব কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, গুজরাট টাইটানসের হয়ে খেলেন বাংলার তারকা ক্রিকেটার। আইপিএলে মোট ১৭০টি ম্যাচে খেলেছেন। রাহুল দ্রাবিড় জমানা থেকেই আর দেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ মেলেনি। ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের রাস্তাও বন্ধ। আইপিএলে গুজরাট টাইটানস তাঁকে রিটেন করেনি। বয়স ৪০। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলেছেন। তাই বিচার বিবেচনা করেই চিরতরে গ্লাভস তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ঋদ্ধি।