আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের মাঠে শুরুতেই হোঁচট। বিদেশিহীন আহালের বিরুদ্ধে বিদেশি খেলানোর সংখ্যায় এগিয়ে থাকতে পারত মোহনবাগান। সেই অ্যাডভান্টেজ পেতে পারত কলকাতার প্রধান। কিন্তু মাত্র তিনজন বিদেশিকে রেখে শুরু করেন। তারমধ্যে দু'জন ডিফেন্ডার। দল গঠনেই নেতিবাচক মনোভাব। কেন হাতে ছয় বিদেশি থাকা সত্ত্বেও এই কম্বিনেশনে দল নামালেন? অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করলেন বাগান কোচ। মোলিনা বলেন, 'আমার যেটা ভাল কম্বিনেশন মনে হয়েছে, যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে, আমি সেই দল খেলিয়েছি।' ডুরান্ড কাপের পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। এটা যে কিছুটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, মেনে নেন বাগান কোচ। তবে পাশাপাশি দাবি করেন, একটা গোল হলেই ম্যাচের রেজাল্ট অন্যরকম হতে পারত।
দলের ফিটনেস সমস্যার কথা স্বীকার করেননি বাগান কোচ। ঘরের মাঠে হারলেও হতাশ হচ্ছেন না। পরবর্তী প্রতিপক্ষ আরও কঠিন। ইরানের সেপাহান এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ। কিন্তু আশা ছাড়ছেন না ভারতসেরা কোচ। মোলিনা বলেন, 'কঠিন ম্যাচ ছিল দুই দলের জন্যই। প্রথমার্ধে চেষ্টা করেছিলাম গোল করার। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বেশি ভাল খেলেছি। ওরাও কিছু সুযোগ তৈরি করেছে। তারমধ্যে একটা গোল হয়ে গেছে। বিশাল ভাল কিছু সেভ করেছে। এএফসি কখনও সোজা নয়। আমরা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব প্রতিপক্ষ না দেখে। পরবর্তী ম্যাচ ইরানে। আমরা হাল ছাড়ি না। জেতার চেষ্টা করব। লড়াই করব। আমরা আজকে জিততে পারতাম। একটা গোল করতে পারলেই ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো। আমি দলের খেলায় খুশি। হয়তো সেরাটা ছিল না। মাঝে একটা লম্বা বিরতি ছিল। ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। আমরা পরের ম্যাচে জেতার চেষ্টা করব।'
মরশুমের শুরুতে ডার্বি হার। তারপর ঘরের মাঠে এএফসিতে হার। গ্যালারিতে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে 'গো ব্যাক মোলিনা' ধ্বনি। এতে কি চাপ বাড়ল বাগান কোচের ওপর? মোলিনা বলেন, 'আমার ওপর কোনও চাপ নেই। আমি জানি আমি কি করছি। সব ম্যাচ জিতব কিনা জানি না। তবে আমরা লড়াই করব। চেষ্টা করব। গত বছরেও আমাদের শুরুটা এরকম হয়েছিল। তারপর কি হয়েছিল সবার মনে আছে।' ডুরান্ড কাপের পর দেড় মাসে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেনি মোহনবাগান। যার খেসারত দিতে হয়েছে। কিন্তু ইরানের দলের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচের আগেও কোনও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা নেই, জানিয়ে দিলেন বাগান কোচ। মোলিনা বলেন, 'ইরানে যাওয়ার আগে আমাদের কোনও প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই। শুধু অনুশীলনই করতে হবে। পরের ম্যাচটা কঠিন। ইরানের ক্লাবের লেভেলে খেলার মতো এখানে কোনও দল নেই।'
ঘরের মাঠে এএফসির প্রথম ম্যাচ হারার আফশোস বিশাল কাইথের। বাগান কিপার মনে করেন, সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জিততে পারতেন তাঁরা। মেনে নিলেন, মাঝের লম্বা বিরতি পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বিশাল বলেন, 'আমাদের সুযোগ ছিল। সেগুলো গোল করতে পারলে ম্যাচ অন্যরকম হত। ওরা সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। আমরা খারাপ খেলিনি। গোলটা আটকাতে পারলে আমরা অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারতাম। ডিফেন্ডাররাও ভাল খেলেছে। ডুরান্ড কাপের পর আমরা প্রথম খেলছি। কিন্তু ওরা ম্যাচের মধ্যে ছিল। সেটা কিছুটা তফাৎ গড়ে দিয়েছে। তবে ফিটনেসে বেশি তফাৎ ছিল না। আমরা আর কিছু বেশি ম্যাচ খেললে হয়তো বেশি ফিট থাকতাম।' বাগানে বিদেশির সংখ্যা নিয়ে অবাক আহাল এফকের কোচ। তিনি আশা করেছিলেন, আরও বেশি বিদেশি খেলানো হবে। এজিজ আন্নামুহামেদভ বলেন, 'আমরা ভাল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আশা করেছিলাম মোহনবাগান আরও বেশি বিদেশি খেলাবে। তবে এটা ওদের কোচের ব্যাপার। বাগান কোচ যেটা ভাল ভেবেছেন সেটাই করেছেন।' তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরে খুশি আহালের কোচ।
