আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৪ জুন, ২০২৫। চিন্নাস্বামীতে পদপিষ্টের ঘটনায় চলে গিয়েছিল তরতাজা ১১টি প্রাণ। আরসিবির আইপিএল ট্রফি জয়ের আনন্দ পরিণত হয়েছিল বিষাদে। সেই ঘটনা নিয়ে বুধবার মুখ খুললেন বিরাট কোহলি। জানিয়েছেন, সমর্থকদের সঙ্গে যা হয়েছে তা প্রতি মুহূর্তে তাঁকে কষ্ট ও বেদনা দেয়। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
বিরাট কোহলির মন্তব্য পোস্ট করা হয়েছে আরসিবি–র সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে কোহলি বলেছেন, ‘৪ জুন যে ভাবে আমাদের হৃদয় ভেঙেছে তার জন্য কোনও প্রস্তুতিই যথেষ্ট নয়। আমাদের দলের ইতিহাসে সবচেয়ে খুশির মুহূর্ত যেটা হওয়ার কথা ছিল, সেটাই সবচেয়ে দুঃখের মুহূর্ত হয়ে গিয়েছে।’ কোহলি আরও বলেছেন, ‘যাঁদের আমরা হারিয়েছি তাঁদের কথা সব সময় মনে পড়ে। তাঁদের জন্য প্রার্থনা করি। পাশাপাশি যাঁরা আহত তাঁদের কথাও ভাবি। আপনাদের ক্ষতি এখন আমাদের কাহিনিরই একটা অংশ। যত্ন, সমীহ এবং দায়িত্ব নিয়ে আমরা একসঙ্গে আগামীর দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালই ‘ফাইনাল’, শুক্রবার ফ্ল্যাশিং মিডোয় জোকারের সামনে আলকারাজ ...
ওই ঘটনার পর তদন্তে উঠে এসেছিল যে, ভিড় সামলাতে না পারা এবং ছোট জায়গার মধ্যে বহু মানুষ চলে আসার কারণেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ স্বীকার করে নেয়, যে সংখ্যক মানুষ হাজির হয়েছিলেন তাঁদের সামলানোর জন্য পুলিশকর্মীর সংখ্যা অনেক কম ছিল। অনেকেই আরসিবি–র একটি ভিডিওকে দায়ী করেছিলেন, যেখানে কোহলি–সহ বাকি ক্রিকেটাররা সমর্থকদের মাঠে আসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
যদিও কিছু দিন আগে আরসিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, মৃতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ছ’দফা কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরসিবি আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিজয়োৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। বিরাটদের কাছ থেকে দেখতে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য ভক্ত। দর্শকদের ভিড় ক্রমশ বানছিল। এক সময় তা আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। শেষমেশ স্টেডিয়ামের সামনে থাকা ব্যারিকেড সরিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন ভক্তরা। ঠিক সেই সময় প্রবল হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর তাতেই ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা। মারা যান ১১ জন।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে নামার আগেই ধাক্কা খেল পাকিস্তান, হেরে গেল আফগানদের কাছে...
এদিকে, বিরাট কোহলি লন্ডনে ফিটনেস টেস্ট দিয়েছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনরা সমালোচনা শুরু করেছেন। রোহিত সহ অধিকাংশ ক্রিকেটার যেখানে বেঙ্গালুরুর সেন্টার ফর এক্সেলেন্সে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন, সেখানে বিরাটের জন্য আলাদা নিয়ম কেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
বর্তমানে সপরিবারে ব্রিটেনেই রয়েছেন তারকা ক্রিকেটার। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, লন্ডনে ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বোর্ডের থেকে বিশেষ অনুমতি নেন কোহলি। কিন্তু দলের বাকিরা বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে ফিটনেস টেস্ট দেয়। যথারীতি সেই টেস্টে উত্তীর্ণ হন বিরাট। তবে লন্ডনে এই বিশেষ ফিটনেস টেস্ট দেওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেন তাঁকে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
