আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভিনিসিয়াস জুনিয়রের হ্যাটট্রিকে অবিশ্বাস্য জয় রিয়াল মাদ্রিদের। ঘরের মাঠে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে ০-২ এ পিছিয়ে পড়েও ৫-২ গোলে জয়। সৌজন্যে ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সান্তিয়াগো বার্নাবিউ দেখল অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। এভাবেও ফিরে আসা যায়, দেখিয়ে দিল রিয়াল। প্রথমার্ধে বুন্দেশলিগার দলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেনি আনচেলত্তির দল। ৩৫ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ীরা। ডোনিয়েল মালেনের গোল ৩০ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। তার চার মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়ান জেমি গিটেনস। বিরতিতে ০-২ গোল পিছিয়ে ছিল রিয়াল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ২ মিনিটের ঝড় বদলে দেয় ম্যাচের রং।
অ্যান্টোনিও রুডিগারের গোলে ব্যবধান কমায় রিয়াল। তার দু'মিনিটের মধ্যে ২-২ করেন ভিনিসিয়াস। ব্রাজিলিয়ান তারকার গোল প্রথমে অফসাইডের জন্য বাতিল করে দেন রেফারি। কিন্তু ভার-এ দেখা যায়, ন্যায্য গোল। তৃতীয় গোল পেতে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় রিয়ালকে। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে লুকাস ভাসকুয়েজ দলকে এগিয়ে দেন। ম্যাচের শেষ সাত মিনিটে জোড়া গোল জুনিয়রের। ৮৬ মিনিটে একক দক্ষতায় ৪-২ করেন তারকা ফুটবলার। ডর্টমুন্ডের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন তিনিই। ম্যাচের সংযুক্ত সময় হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন ভিনিসিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে কোনও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি ডর্টমুন্ড। ম্যাচ শেষে জুনিয়র বলেন, 'আমরা জানতাম ঘরের মাঠে ফ্যানদের সামনে খেললে সবকিছুই সম্ভব। হাফ টাইম পর্যন্ত আমরা নিস্তেজ ছিলাম। তারপর কোচের কথা শুনি। জানতাম ঘরের মাঠে যেকোনও সময় প্রত্যাবর্তন সম্ভব। প্রথম গোলটা করতে পারলে, পরেরটারও সম্ভাবনা থাকে। এভাবেই আমরা কামব্যাক করি। ফ্যান এবং দলের সতীর্থদের ধন্যবাদ। তাঁরা একশো শতাংশ দিয়েছে।' টনি ক্রুসের অবসরের পর ভারসাম্য এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে কার্লো আনচেলত্তির দল। পারফরম্যান্স ওঠা- নামা করছে। কিন্তু চেনা ছন্দে ফেরার বিষয়ে আশাবাদী রিয়ালের কোচ। ২৭ অক্টোবর লা লিগায় বার্সেলোনার মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ।
