আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি এশিয়া কাপে ভারতের প্রথম ম্যাচে শুভমান গিলের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁর ছোটবেলার সঙ্গী সিমরনজিত সিং। এবার ভারতের গ্রুপ–এ-এর শেষ ম্যাচে সেই একই দৃশ্য দেখা যাবে। কুলদীপ যাদবের প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে নামবেন তাঁরই পুরনো বন্ধু বিনায়ক শুক্লা। ওমানের ক্রিকেটার বিনায়ক শুক্লা রীতিমত উচ্ছ্বসিত শৈশবের বন্ধু কুলদীপের বিরুদ্ধে নামতে পেরে। শুধু কুলদীপ নন, রিঙ্কু সিংয়ের বিরুদ্ধেও খেলতে মুখিয়ে আছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ থেকে ভারতীয় ক্রিকেটে জায়গা করে নেওয়া কতটা কঠিন, তা ভালভাবেই জানেন শুক্লা। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সুযোগ না পেয়ে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটকে বিদায় জানান ২০২১ সালে। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেকের জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও তিন বছর।

২০২৪ সালে অবশেষে ওমানের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। এর পাশাপাশি তিনি কাজ করেন মাসকটে ন্যাশনাল মেটাল ক্যানস সংস্থায় ডেটা অপারেটর হিসেবে। শুক্লা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ভারতীয় ক্রিকেট ছেড়ে ওমানে চলে আসি স্বপ্ন পূরণের জন্য। কানপুরে প্রথমে স্থানীয় ক্লাবগুলিতে খেলতাম, পরে বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরেছি। কিন্তু রাজ্যের হয়ে খেলার সুযোগ পাইনি। একসময় বাংলায় খেলেছি, সেখানে অশোক দিন্দা, মনোজ তিওয়ারির মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে খেলেছি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্র্যাকটিস সেশনে দীনেশ কার্তিকের সঙ্গেও দেখা হয়েছিল। রঞ্জি স্তরে মায়াঙ্ক আগরওয়াল, মহম্মদ আজহারউদ্দিনদের মতো ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেও খেলেছি। উত্তরপ্রদেশে উপেন্দ্র যাদব, শিবম মাভির সঙ্গে অনুশীলন করেছি, আবার বাংলায় রঞ্জোত সিংহ খেরা, করণ লালের সঙ্গেও খেলেছি।’ একজন উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে এম এস ধোনিকেই আদর্শ মানেন বিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘ধোনি আমার গুরু। ওঁকে আমি কখনও দেখিনি, কিন্তু একদিন দেখা করার ইচ্ছে আছে। ম্যাচ ফিনিশ করার ভঙ্গি, দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কৌশল—সবকিছুতেই তিনি অনন্য।’ কুলদীপ যাদবের সঙ্গেও অতীতে একাধিকবার খেলেছেন শুক্লা। ‘আমরা একসঙ্গে কানপুরে অনেক ম্যাচ খেলেছি। কুলদীপ তখন রোভার্স ক্লাবে খেলত, আমি খেলতাম পিএসই–তে। একবার আমাকে বোলিং করেছিল, আমি চার মেরে দিয়েছিলাম। তখন ও হেসে বলেছিল, ‘ওহ, দারুণ শট!’—এমন অনেক স্মৃতি আজও মনে আছে।’ ভারতের বিরুদ্ধে নামতে পেরে স্বপ্নপূরণের মতো অনুভূতি হচ্ছে তাঁর। তিনি বলেন, ‘একসময় আমি ভারতে খেলতাম, এবার ভারতের বিরুদ্ধে নামছি, এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে! যশপ্রীত বুমরা, সূর্যকুমার যাদব, কুলদীপ কিংবা শুভমান গিল। এদের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগই বড় ব্যাপার। আমাদের দলের জন্যও এটা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমি বিশেষ করে কুলদীপের সঙ্গে মাঠে আবার দেখা করার অপেক্ষায় আছি,’ জানিয়েছেন বিনায়ক।