আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ঘরে ফিরে নায়কের সম্মান পেলেন। তাঁর ব্যাটেই এশিয়া কাপ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। তারপর দেশে ফিরে কার্যত নায়কের সম্মান পাচ্ছেন তিলক বর্মা। বিমানবন্দর থেকে হুডখোলা গাড়িতে চাপিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তরুণ ব্যাটারের নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন ভিড় জমানো ক্রিকেটপ্রেমীরা। এশিয়া কাপ জেতার পর অবশ্য তিলকের কটাক্ষ, পাকিস্তানকে এখন তো আর মাঠে দেখতে পাচ্ছি না!


রবিবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালে প্রবল চাপ থেকে ভারতকে উদ্ধার করে পাকিস্তানের গ্রাস থেকে একা ফাইনাল ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান তিলক। মাত্র ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৯ করেন। কিন্তু সেই ইনিংস খেলা খুব একটা সহজ ছিল না তিলকের পক্ষে। একে তো ভারত ২০–৩ হয়ে গিয়েছিল ইনিংস শুরুর চার ওভারের মধ্যে। তার উপর তিলক ক্রিজে আসা মাত্র পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা তাঁকে কথা শোনাতে শুরু করেন। উত্যক্ত করতে শুরু করেন। গালিগালাজ করতে থাকেন।
তার মধ্যেও ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন তরুণ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিলক বলেন, ‘‌আমি স্রেফ চেয়েছিলাম, আমার ব্যাট কথা বলুক। আমি নামার পর ওরা প্রচুর চেঁচামেচি করছিল। প্রচুর কথাবার্তা বলছিল। আমি শুধু ব্যাট দিয়ে উত্তর দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কী ব্যাপার বলো তো? পাকিস্তানকে এখন তো আর মাঠে দেখতে পাচ্ছি না।’‌ স্টেডিয়ামজুড়ে বন্দেমাতরম ধ্বনিও তাঁকে প্রবলভাবে তাতিয়ে দিয়েছিল এটাও জানিয়েছেন তিলক।

 

আরও পড়ুন:‌ এশিয়া কাপে ভারতের কাছে হারের জের, ক্রিকেটারদের বড় শাস্তি দিল পাকিস্তান


এবার দারুণ ইনিংস খেলে দেশে ফেরার পর নায়কের সম্মান পাচ্ছেন হায়দরাবাদি ব্যাটার। সোমবার তাঁকে স্বাগত জানাতে হায়দরাবাদের শামসাবাদ বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। সেখানে তেলেঙ্গানার স্পোর্টস অথরিটির তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তিলককে। তারপর হুডখোলা গাড়িতে চেপে বিমানবন্দর ছাড়েন বাঁহাতি তারকা ব্যাটার, একেবারে নায়কের মেজাজে।

এদিকে, বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশের হয়ে আর খেলতে দেওয়া হবে না। এহেন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।


২৮ সেপ্টেম্বর নাম না করে শাকিব সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন, ‘‌যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তার জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হল না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরবো হয়তো কোন দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালবাসি বাংলাদেশ।’‌ 


সেই দিনই হাসিনার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে শাকিব লেখেন, ‘‌শুভ জন্মদিন।’‌ শাকিব ও আসিফ মাহমুদ সজীবের মধ্যে শুরু হয় বাকযুদ্ধ। এক প্রকার নিদান দিয়েই দিয়েছেন সজীব যে দেশের হয়ে খেলতে আর পারবেন না বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। এভাবে যে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ হবে, তা কেউ কল্পনাও করেননি।
বাসের ছাদে বসে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল ছেলেটা। খেলতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছিল। সেই ছেলেই পরে বিশ্বের একনম্বর অলরাউন্ডার হয়। বাংলাদেশের প্রাণ, বাংলাদেশের সম্পদ তিনি। তিনি শাকিব আল হাসান। বন্ধুমহলে যিনি ফয়সল নামে জনপ্রিয়।