আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের সেরা লিগে একটানা ব্যর্থতার মাঝেই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে ভুটানে পাড়ি দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। গ্রুপে লেবাননের নেজমা এসসির মতো কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল। তাঁদের হারিয়ে গ্রুপের একনম্বর দল হিসেবে নকআউট পর্বে যাবে ইস্টবেঙ্গল, এমন বোধহয় লাল হলুদের অতি বড় সমর্থকও ভাবেনি। কিন্তু অস্কার ব্রুজোর কোচিংয়ে সেই অসাধ্য সাধন করল কলকাতার প্রধান। মাত্র চার সেশনের অনুশীলনের পর দলবল নিয়ে এএফসির চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে ড্রাগনদের দেশে গিয়েছিল অস্কার ব্রুজো। প্রথম প্রতিযোগিতায় এল সাফল্য। আইএসএলে ডার্বি হার দিয়ে হাতেখড়ি হয় তাঁর। তারপর ওড়িশা ম্যাচেও দেওয়াল লিখন একই ছিল। কিন্তু এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ভাগ্য ফিরল।

রাতারাতি একটানা ব্যর্থতা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক স্টেজে সাফল্যের রহস্য কী? অস্কার বলেন, 'দলের ফুটবলাররা বুঝেছিল শেষপর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কঠিন সময় কাটিয়ে কীভাবে ম্যাচে ফিরতে হয় সেটা বুঝতে পেরেছে। প্রথম ৩০ মিনিট আমরা ভাল খেলি। তারপর ওরা ম্যাচের দখল নিয়ে নেয়। দ্বিতীয়ার্ধে ওরাই ভাল খেলছিল। শেষ ২০ মিনিটে আমরা ফিরে আসি। আমাদের হারানোর কিছু ছিল না। ফ্যানদের সমর্থন এবং ভালবাসা বাড়তি শক্তি জোগায়। আমার ওপর আস্থা রেখেছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। তার প্রতিদান দিতে চেয়েছিলাম। মাত্র চারটে সেশন প্র্যাকটিসের সুযোগ পেয়েছি। প্রচুর ভিডিও অ্যানালিসিস করা হয়েছে। প্লেয়াররা নতুন চিন্তাধারা গ্রহণ করতে তৈরি ছিল। একইসঙ্গে ওদের নিজের ওপরও বিশ্বাস ছিল। ম্যাচের বিরতিতে ওদের বলেছিলাম, অঙ্কের অপেক্ষায় থাকা যাবে না। সরাসরি জয়ের চেষ্টা করতে হবে। আমরা নিজেদের সংগঠিত রাখতে পেরেছি।' 

আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য এলেও দলের রক্ষণ নিয়ে খুশি নয় স্প্যানিশ কোচ। দু'গোলে এগিয়েও জোড়া গোল হজম মানতে পারছেন না। এই প্রসঙ্গে অস্কার বলেন, 'আমরা দুটো গোল করার পর দু'গোল হজম করেছি। আমাদের তিন নম্বর গোলটা করার সুযোগ ছিল। আমাদের কাউন্টার অ্যাটাকে গোল খেলে চলবে না। সেট পিসেও গোল হজম করা যাবে না। রক্ষণের ভুলের জন্য আমি একেবারেই খুশি নই।' দেশে ফিরেই আবার ফোকাস ফেরাতে হবে আইএসএলে। ছয় ম্যাচে প্রাপ্তির ভাড়ার শূন্য। এখনও পয়েন্টের খাতাই খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ মনে করছেন, এএফসির সাফল্য আইএসএলে তাঁদের মোটিভেট করবে। অস্কার বলেন, 'এই জয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফাইনাল পর্ব এপ্রিল-মেতে হবে। তবে এই সাফল্য আমাদের মনোবল বাড়াবে। মোটিভেট করবে। আইএসএলে আমরা নিজেদের অবস্থান সম্বন্ধে অবগত। আশা করছি এবার সেটা বদলাতে পারব।' প্রিয় দলের সমর্থনে ইস্টবেঙ্গল সাপোর্টাররা ভুটানে হাজির ছিল। দলের সাফল্যের কৃতিত্ব তাঁদেরও ভাগ করে দিলেন অস্কার।