আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাসিক ১৫ হাজার টাকা জীবন বদলে দিয়েছিল নীতীশ রেড্ডির। শনিবারের মেলবোর্নের নায়ক নীতীশ সম্পর্কে অজানা কাহিনি শোনালেন দেশের প্রাক্তন উইকেট কিপার এমএসকে প্রসাদ। 

অস্ট্রেলিয়ার পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে একসময়ে ভারত ধুঁকছিল। ফলো অনের আতঙ্কে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ যখন কাঁপছে, তখন নীতীশ রেড্ডি অন্য কিছু হয়তো ভাবছিলেন। ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে জুটিতে ১২৭ রান জোড়েন। বোল্যান্ডকে চার মেরে সেঞ্চুরি করেন নীতীশ। 

সেই নীতীশকে নিয়ে বলতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রসাদ। ১২ বছরের নীতীশকে নিয়ে প্রসাদের কাছে এসেছিলেন বাবা মুত্যালা রেড্ডি। 

অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেন  প্রসাদ। তিনি নীতীশকে কয়েকটি প্রশ্ন করেন, তার পরই নেটে দেখে নেন উঠতি ক্রিকেটারকে। কিশোর নীতীশের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ হন প্রসাদ। তাঁর প্রতিভা চিনতে পেরে এমএসকে প্রসাদ শনিবারের নায়ককে নিয়ে অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থায় যান। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ক্রিকেট ও পড়াশোনার জন্য মাসিক ১৫ হাজার টাকা খরচ করে নীতীশের পিছনে। এই ১৫ হাজার টাকা নীতীশের জীবনে গড়ে দেয়। 

মেলবোর্নে এদিন উপস্থিত ছিলেন প্রসাদ। নীতীশ রেড্ডির দুর্দান্ত ইনিংস দেখে তিনি মুগ্ধ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে প্রসাদ বলেছেন, ''নীতীশ, ওর পরিবার এবং আমার জন্য দারুণ সুখের একটা মুহূর্ত। গোটা দেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ক্রিকেট আজ এই বাচ্চা ছেলেটার জন্য গর্বিত। খুব স্বচ্ছল অবস্থা ছিল না নীতীশের পরিবারের। আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে, প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নীতীশ এই জায়গায় পৌঁছেছে। ও এখন সুপারস্টার। এই পর্যায়ে পৌঁছনোর জন্য নীতীশ খুবই পরিশ্রম করেছে। ওর জন্য অনেক ত্যাগ করেছে ওর পরিবার। ওদের কুর্নিশ জানাই।'' 

ছেলের সেঞ্চুরি দেখার পরে উল্লসিত বাবাকে কাঁদতে দেখা যায়। অনেক আত্মত্যাগের কাহিনি রয়েছে এই চোখের জলে। 

প্রসাদ বলছেন, ''নীতীশের উত্থানের পিছনে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার। নীতীশকে ওর বাবা যেদিন আমার কাছে এনেছিলেন, সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম ও বহুদূর যাবে। অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা ওর পড়াশোনা ও ক্রিকেটের জন্য মাসিক ১৫ হাজার টাকা খরচ করে। আমার কাছে ১২ বছর বয়সে এসেছিল নীতীশ। আজ আমি ওর জন্য খুব খুশি।'' 

মেলবোর্নে কঠিন পরিস্থিতিতে নীতীশ রেড্ডির সেঞ্চুরি আত্মবিশ্বাস জোগাবে তাঁকে। এই আত্মবিশ্বাস তাঁকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলেই মনে করেন প্রসাদ।