আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার আইএসএলের মেগা ফাইনাল। মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু ফাইনাল ঘিরে চড়ছে পারদ। শনি-সন্ধ্যায় যুবভারতীতে নায়ক হতে পারেন অনেকেই। ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ফুটবলার রয়েছে দুই প্রধানেই। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কারা হেলায় ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাচের গতিপ্রকৃতি।
জেমি ম্যাকলারেন: এবারই আইএসএলে প্রথমবার খেলছেন ম্যাকলারেন। ২৪টি ম্যাচে ১১টি গোল হয়ে গিয়েছে তাঁর। প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে ম্যাকলারেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। লিগ পর্বে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচের একটিতেও গোল করতে পারেননি অজি বিশ্বকাপার। ফাইনাল কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন ম্যাচ। ম্যাকলারেন কী করেন, তা দেখার অপেক্ষায় মোহনবাগান সমর্থকরা।
সুনীল ছেত্রী: ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি তিনি। ২৭টি ম্যাচে ১৪টি গোল হয়ে গিয়েছে তাঁর। কেরিয়ারের প্রায় শেষ লগ্নে পৌঁছেও সুনীল ছেত্রী ছড়িয়ে দিচ্ছেন সোনালি রোদ্দুর। সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন তিনি। যুবভারতীতে কী করেন সুনীল, সেটাই দেখার।
আপুইয়া: মোহনবাগান মাঝমাঠের ভরসা। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় সাক্ষাতে আপুইয়ার দুরন্ত গোল তাঁকে রীতিমতো নায়ক করে তুলেছে। দেড়বছর পরে আইএসএলে গোল করেন আপুইয়া। ফাইনালেও মোহনবাগানের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা তিনিই।
রাহুল ভেকে: বেঙ্গালুরুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র রাহুল ভেকে। ফাইনালে তাঁর দিকেও নজর থাকবে। প্রতি ম্যাচে গড়ে ৫০টি পাস করেছেন তিনি। সফল পাসের হার ৮৫%। এ পর্যন্ত ১৮টি ট্যাকল করেছেন তিনি। বেঙ্গালুরু শেষবার খেতাব জেতে যেবার, সেই ফাইনালে গোল ছিল রাহুল ভেকের।
শুভাশিস বোস: মোহনবাগান রক্ষণের প্রাণভোমরা তিনি। দলনেতাও তিনি। সব মিলিয়ে ছ'টি গোল করেছেন বাংলার ছেলেটি। দলকে দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন শুভাশিস। কঠিন পরিস্থিতিতে বল দখল করে দলকে বাঁচিয়েছেন। ফাইনালেও শুভাশিসের দিকে তাকিয়ে থাকবেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা।
