আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরানের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র ম্যাচ খেলতে যায়নি মোহনবাগান। ফুটবলারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যার ফলে চলতি মরশুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র বাকি ম্যাচগুলো খেলার সুযোগ হারায় মোহনবাগান। তার বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের কর্তারা। শনিবার এএফসির থেকে জবাব এল। কোনও আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে না ক্লাবকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে থাকায় জরিমানার নিয়ম মোহনবাগানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অন্য কোনও শাস্তি দেওয়া হবে না। কিন্তু চলতি মরশুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র বাকি ম্যাচগুলো খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি মোহনবাগানকে। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো খেলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা মঞ্জুর করা হয়নি।
শনিবার মোহনবাগান ক্লাবের দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, '২ নভেম্বর এএফসির পক্ষ থেকে মোহনবাগান ক্লাবকে জানানো হয়েছে, ক্লাবের আবেদনের ভিত্তিতে, এএফসির কম্পিটিশনস কমিটি এটাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে থাকায় টুর্নামেন্টের ৫.৭ ধারা অনুযায়ী আর্থিক জরিমানা মোহনবাগানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র ৫.৫ এবং ৫.৬ ধারা অনুযায়ী, এরকম বিরূপ পরিস্থিতিতেও চলতি মরশুমে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে না ক্লাব। নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।'
প্রসঙ্গত, অক্টোবরের শুরুতে ইরানের তাবরিজে ট্রাক্টর এফসির বিরুদ্ধে এএফসির ম্যাচ খেলতে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তারমধ্যেই ইরানের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। একপ্রকার যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফুটবলারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ইরানে দল পাঠায়নি মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ। দলের ৩৫ জন ফুটবলারের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয় এএফসিকে। কিন্তু তার জবাবে জানানো হয়, টুর্নামেন্টের ধারা অনুযায়ী ধরে নেওয়া হচ্ছে মোহনবাগান এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে। আগের ম্যাচে বাগানের পাওয়া এক পয়েন্টও কেড়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি বড় আর্থিক জরিমানার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু এএফসির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, কোনও আর্থিক জরিমানা হচ্ছে না ক্লাবের। তবে মোহনবাগানের নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।
