আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি আইএসএলে ১৪ গোল করে ফেলেছেন। শনিবার রাতে কি মোহনবাগানের মুখের গ্রাস কাড়তে পারবেন? কয়েক মাস আগে এই যুবভারতীতেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছিলেন। ডুরান্ড কাপের পর শ্বশুরবাড়ির শহরে কি আরও একটি ট্রফি উঠবে সুনীল ছেত্রীর হাতে? সময়ই বলবে। কিন্তু বেঙ্গালুরুর প্রধান ভরসা যে সেই ভিন্টেজ সুনীল, জেরার্ড জারাগোজার কথায় সেটা স্পষ্ট। বেঙ্গালুরু কোচ জানালেন, তারকা ফুটবলারের গোলের খিদে এখনও কমেনি। সবেতেই একনম্বর হতে চান। তবে সুনীল শুরু করবেন না পরে নামবেন, সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখেন। জারাগোজা বলেন, 'সুনীল সবসময় সেরাটা দিতে চায়। মাঝেমধ্যে আমাকে সমস্যায় ফেলে দেয়। ও সবসময় জিততে চায়। ১৪ গোল করে ফেলেছে। ২০১৮ সালের মতো। শুরুতে দ্বিতীয়ার্ধে নামছিল। কিন্তু তারপর ৯০ মিনিট খেলার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়ায় শুরু করে। তবে সম্প্রতি ভারতীয় দলের হয়ে ১৮০ মিনিট খেলেছে। বেঙ্গালুরুর হয়ে টানা চারটে ম্যাচ খেলেছে। বয়স একটা ফ্যাক্টর। তাই ভেবেচিন্তে‌‌ ওকে নামাতে হবে।' গুরপ্রীত সিং সান্ধু জানালেন, ক্লাব হোক বা জাতীয় দল, সুনীল সবসময় তাঁদের আদর্শ। বিদেশ থেকে খেলে আসার পর আরও বেশি পেশাদার হয়ে গিয়েছে। গুরপ্রীত বলেন, '১৫ বছর আগে আমি যখন শুরু করেছিলাম, তার থেকে এখন অনেক বেশি পেশাদার হয়ে গিয়েছে। বরাবরই সুনীল ভাই লিডার। ক্লাব হোক বা জাতীয় দল, আমরা সবসময় ওকে আদর্শ মেনেই চলি।' 

শনিবার ৬৫ হাজারের যুবভারতীর বিরুদ্ধে খেলতে হবে বেঙ্গালুরুকে। তবে একেবারেই ঘাবড়াচ্ছেন না জারাগোজা। বেঙ্গালুরু কোচের দাবি, যুবভারতী তাঁদের সেকেন্ড হোম। এখানে ডুরান্ড কাপ খেলায়, পরিবেশ সম্বন্ধে অবগত তাঁরা। মোহনবাগানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য তৈরি। জারাগোজা বলেন, 'আমরা ফাইনাল নিয়ে খুবই উত্তেজিত। আমরা আত্মবিশ্বাসীও। কলকাতা আমাদের দ্বিতীয় বাড়ির মতো। কারণ আমরা এখানে ডুরান্ড কাপ খেলেছি। প্লে অফে আমরা ভাল খেলেছি। আমরা গ্র্যান্ড ফাইনালের জন্য তৈরি।' মোহনবাগানের তারকাখচিত স্ট্রাইকিং ফোর্সকে কি রোখা সম্ভব? বেঙ্গালুরু কোচ জানালেন, শুধুমাত্র আপফ্রন্ট নয়, গোটা মোহনবাগান দল শক্তিশালী। তবে ২০১৯ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চান। কার্লেস কুয়াদ্রাত, অ্যালবার্ট রোকার সহকারী হিসেবে আইএসএল জিতেছেন। এবার হেড কোচ হিসেবে জিততে চান। নিজেদের আন্ডারডগ মনে করছেন না। জারাগোজা বলেন, 'কারা কী বলল, সেই নিয়ে ভাবছি না। শুধুমাত্র কয়েকজন প্লেয়ারকে আটকালে হবে না, পুরো দলকে থামাতে হবে। শুধু ২-৩ জনের বিষয় নয়, শুভাশিস, আপুইয়া, থাপারাও ভাল। এগারোজনকেই আটকাতে হবে। ফাইনাল খেলার মোটিভেশন আলাদা। আমরা এই ট্রফি চাই। ২০১৯ সালে আমি ছিলাম। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য কুয়াদ্রাত এবং রোকার কাছে কৃতজ্ঞ।' চলতি মরশুমে ঘরের মাঠে অপরাজিত মোহনবাগান। মোলিনার দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য তৈরি বেঙ্গালুরু কোচ।