মিল্টন সেন: একশো শতাংশ দৃষ্টিহীন। কিন্তু দাবা শেখান যাঁদের, তাঁরা দেখতে পান। এবার রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পেলেন উত্তরপাড়ার যুধাজিৎ দে। নিজে দৃষ্টিহীন হয়ে দৃষ্টি সম্পন্নদের দাবা প্রশিক্ষণ দেন। বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে পেলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। শুভেচ্ছা জানালেন শহরের পুরপ্রধান।

যুধাজিৎ দে প্রতিবন্ধকতাকে বড় করে দেখেননি কোনওদিন। ছোট থেকেই দাবা খেলায় আগ্রহী ছিলেন।‌ বর্তমানে তিনি একজন সফল দাবা প্রশিক্ষক। যিনি নিজে একজন দৃষ্টিহীন হয়েও দৃষ্টিসম্পন্ন দাবা খেলোয়াড়দের একমাত্র সফল প্রশিক্ষক। তাঁর ঝুলিতে আছে একাধিক আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পুরস্কার। দাবা খেলার পাশাপাশি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতেও পারদর্শী তিনি। পেয়েছেন পাঁচটি জাতীয় স্বর্ণপদক। বুধবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে নিজের কৃতিত্বের জন্য পেলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।

যুধাজিৎ এবং তাঁর গোটা পরিবার এখন দিল্লীতে রয়েছে। ৬ ডিসেম্বর উত্তরপাড়ায় ফিরবেন। তখন তাঁকে পুরসভার পক্ষ থেকেও সম্বর্ধনা দেওয়া হবে বলে জনান উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব। যুধাজিতের অধ্যাবসা এবং ইচ্ছেশক্তি তাঁকে এই সম্মান এনে দিয়েছে। মা রূপা দে তাঁকে প্রথম দাবা খেলা শেখান।

যুধাজিতের এই সম্মান পাওয়ার খবরে ইতিমধ্যেই উত্তরপাড়া শহরের পুরপ্রধান দিলীপ যাদব টেলিফোনে তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা জানান। ফিরে আসার পর পুরসভার পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হবে বলে জানান। যুধাজিৎ দিল্লী থেকে ফোনে জানিয়েছেন, এই সম্মান পেয়ে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। একটাই বার্তা দিতে চান, জীবনে চলার পথে নিজের ইচ্ছেশক্তি ও জেদের কাছে কোনও প্রতিবন্ধকতাই বড় নয়।