আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিনি বোর্ড সভাপতি থাকাকালীনই বিরাট কোহলির জায়গায় টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবার রোহিত শর্মাকে ওয়ান ডে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন। তাঁর মতে, এটা কোনও আকস্মিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং একজন সিনিয়র ক্রিকেটারের কেরিয়ারের স্বাভাবিক অংশ।

রোহিত শর্মা চলতি বছরেই ভারতের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছিলেন, তাঁকে সরিয়ে নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয়েছে শুভমান গিলকে। যদিও রোহিত এখনও অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে।

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এটা কোনও ‘স্যাকিং’ নয়। নিশ্চয়ই রোহিত ও বোর্ডের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিত একজন অসাধারণ নেতা— তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছেন। তাঁর পারফরম্যান্স কোনও সমস্যা নয়। তবে ২০২৭ সালে রোহিতের বয়স হবে ৪০। খেলাধুলায় সেটা একটা বড় সংখ্যা।’

সৌরভের মতে, গিলকে অধিনায়ক করা ন্যায্য সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, রোহিতকে আগেই জানানো হয়েছে। এটি খুব স্বাভাবিক একটি পদক্ষেপ। আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে, দ্রাবিড়ের ক্ষেত্রেও হয়েছে। প্রত্যেক বড় খেলোয়াড়ের কেরিয়ারে এক সময় এমনটা আসে। এমনকি শুভমান গিলকেও একদিন এই অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে, যখন তাঁর বয়স হবে ৪০। খেলাধুলায় সবাইকে একসময় থামতেই হয়। গিলকে নেতৃত্বে নিয়ে আসাটা খারাপ সিদ্ধান্ত নয়। সে ইংল্যান্ডে দুর্দান্ত প্রতিভা দেখিয়েছে। আমি মনে করি, এটা যথাযথ সিদ্ধান্ত। রোহিত খেলতে থাকবে, আর তারই সঙ্গে নতুন অধিনায়ককে গড়ে তোলা যাবে।’

২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি থাকবেন কি না সেই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সৌরভ বলেন, ‘ওদের ফিটনেসের ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে। দু’জনেই এখন একটি করে ফরম্যাটে খেলে। তাই যদি তারা নিজেদের ফিট রাখে, নিয়মিত রান করে, তাহলে অবশ্যই খেলার সুযোগ থাকবে। তবে এটা সহজ নয়। আইপিএল খেলা সম্ভব, কিন্তু সেটা বছরে মাত্র দু’মাসের জন্য। তাই ফিটনেস ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই এখানে মূল বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখনই সুযোগ পাবে, রোহিত ও বিরাটকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। ক্রিকেট এমন একটি খেলা যেখানে নিয়মিত খেলতে হয়, না হলে টাচ ও ফর্ম হারিয়ে যায়। তাই নিয়মিত খেলা, অনুশীলন ও পারফর্ম করাই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরোয়া ক্রিকেটই সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।’