আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুয়াহাটি টেস্টের প্রথম দিনই বড় ধাক্কা খেল ভারতীয় শিবির। যদিও তার সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্টের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এর প্রভাব পড়তে পারে ভারত-নিউজিল্যান্ড একদিনের সিরিজে। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। এবার নিউজিল্যান্ড সিরিজেও তাঁকে না পাওয়া যেতে পারে। ১১ জানুয়ারি কিউয়িদের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচ। সঠিক প্রক্রিয়াতেই সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে আরও দু'মাস লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ থেকে ছিটকে যেতে পারেন।
১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে ফেরেন শ্রেয়স। ট্রেনিং শুরু করার জন্য আরও দু'মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে তাঁকে। সঙ্গে সঠিক রিহ্যাব করতে হবে। বোর্ডের এক সূত্র বলেন, 'চোটের দু'মাস কাটার পরই এক্সারসাইজ, ওয়েট ট্রেনিং চালু করা সম্ভব হবে। সম্পূর্ণ ম্যাচ ফিট হতে এরপর আরও দু'তিন সপ্তাহ লেগে যাবে।' দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে তাঁকে পাওয়া যাবে না। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে টি-২০ বিশ্বকাপেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বলা চলে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠলেও, কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না খেলায়, তাঁকে দলে রাখার ঝুঁকি হয়তো নেওয়া হবে না। বোর্ডের সূত্র বলেন, 'টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ফিট হয়ে যাবে শ্রেয়স। কিন্তু তার আগে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলবে না। এই বিষয়ে নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।' দেশে ফেরার পর থেকে প্রখ্যাত স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. দিনশ পার্দিওয়ালার তত্ত্বাবধানে আছেন শ্রেয়স।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচ চলাকালীন সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফিল্ডিং করার সময় বুকের বাঁ পাঁজরে চোট পান শ্রেয়স আইয়ার। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৩৩ ওভারে এই ঘটনা ঘটে। হর্ষিত রানার বলে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেন অ্যালেক্স ক্যারি। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে ছুটে এসে ক্যাচ ধরেন শ্রেয়স। ভারত গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পেলেও, চোট পান তারকা ক্রিকেটার। বাঁ দিকের বুক ধরে মাটিতে শুয়ে পড়েন শ্রেয়স। তারপর সতীর্থ এবং ফিজিও কমলেশ জৈনের সাহায্যে মাঠ ছাড়েন। ইনিংসের বাকি সময়টা আর মাঠে নামেননি। ড্রেসিংরুমে জ্ঞান হারান। তারপরই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একসময় অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। অবশেষে সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন শ্রেয়স।
