আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধনা দিল মোহনবাগান ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। শনিবাসরীয় সন্ধেয় কোচ সঞ্জয় সেন সহ বাংলা দলের ফুটবলাররা হাজির ছিলেন। ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সন্তোষ জয়ী দলের পাশাপাশি সংবর্ধিত করা হয় আইএফএর কর্তাদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইএফএর চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব অনির্বাণ দত্ত, সহ সচিব রাজেশ ঝা সহ অন্যান্য কর্তারা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, শেষ দু'বার যে দু'জন কোচ বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি দিয়েছিলেন, সাব্বির আলি এবং মৃদুল ব্যানার্জিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। ছিলেন বাংলার দুই প্রাক্তন অধিনায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং অনুপম সরকার। সবাইকেই সংবর্ধিত করা হয়। 

এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও একবার ঘরোয়া লিগে বাংলার ছেলেদের খেলানোর ওপর জোর দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি মনে করেন, যতদিন জাতীয় দলে বাংলার সাত-আটজন ফুটবলার থাকবে না, ততদিন ভারতীয় দলের ব়্যাঙ্কিংয়ে আমূল উন্নতি হবে না। অরূপ বিশ্বাস বলেন, 'কলকাতা লিগে বাংলার ছেলেরা খেলুক। কেন বেশিরভাগ বাইরের ছেলেরা খেলবে? মোহনবাগানের এত কোটি দলে মাত্র একজন বাঙালি। মোহনবাগান ক্লাব শুধু ট্রফি জেতার জন্য নয়, ফুটবলার তৈরি করাও তাঁদের কর্তব্য। জাতীয় দলে বাংলার ফুটবলাররা না থাকলে আমরা ৯০ এর নীচে নামতে পারব না। ৭-৮ জন বাংলার ছেলে খেললে আমরা উন্নতি করতে পারি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সন্তোষ জয়ী ফুটবলারদের চাকরি দিয়েছেন যাতে আরও ছেলে ফুটবল খেলে। সবাই একসঙ্গে মিলে বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।' 

মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানান, কলকাতা লিগে শুধুমাত্র ভূমিপুত্রদের খেলার নিয়ম চালু হলে, ঘরোয়া লিগকে তাঁরা আরও গুরুত্ব দেবে।

সন্তোষে সাফল্যের জন্য মোহনবাগানকেও কৃতিত্ব দেন সঞ্জয় সেন। জানান, এই ক্লাবে কোচিং জীবনের কিছু ভাল সময় কাটিয়েছেন। মোহনবাগান থেকেই তাঁর সাফল্যের যাত্রা শুরু হয়। ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে একমত সন্তোষ জয়ী কোচ। জানান, বাংলার ছেলেরা আইএসএলে বাইরের দলের হয়ে খেলছে। বাংলার তিন প্রধানে কেন তাঁরা সুযোগ পাবে না? সঞ্জয় সেন বলেন, 'আমি সাফল্য পেয়েছি কারণ আমাকে একসময় মোহনবাগানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সন্তোষ ট্রফিতে খেলা ছেলেরা আমার পুত্রসম। আমি নিজের সন্তানকে যেভাবে প্রতিপালিত করি, ছেলেদেরও একইভাবে সতর্ক করি। জামশেদপুরে খেলা সৌরভ দাসকে আমি প্রথম সুযোগ দিই। নরহরি শ্রেষ্ঠাকে খেলানোর জন্য গালাগালি খেয়েছি। আজ ওরা বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কেন ওদের বাইরে খেলতে হচ্ছে? কেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানে সুযোগ পাবে না? কবে তিন ক্লাবের কর্তারা বুকের পাটা দেখাবে?' এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং মোহনবাগান রত্ন সৈয়দ নঈমউদ্দিন, প্রসূন ব্যানার্জি এবং প্রদীপ চৌধুরী। এছাড়াও ছিলেন মোহনবাগানের কর্তা এবং কর্মসমিতির সদস্যরা।