আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্তোষ ট্রফির সাফল্য সরাসরি আইএসএলের টিকিট দিতে চলেছে রবি হাঁসদাকে। শোনা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গে কথা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। সন্তোষ ট্রফি চলাকালীন হায়দরাবাদে উপস্থিত ছিলেন লাল হলুদের কোচ অস্কার ব্রুজো এবং শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। সেখানেই রবির সঙ্গে একপ্রস্থ কথা বলেন তাঁরা। যদিও এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। রবি জানান, দু'একটা ক্লাব আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এখনও কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়নি। শোনা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের দিকেই পাল্লাভারী। লাল হলুদ জার্সিতে খেলতে আগ্রহী সন্তোষ ট্রফির সর্বোচ্চ গোলদাতা। বুধবার রাতে সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দল হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় ফেরে। বিমানবন্দরে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। অবশ্য সেই জন্য কোনও আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করা যাবে না। কারণ ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার ছিল বাংলা দলে। তবে রবিকে পাওয়ার দৌড়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সমানভাবে রয়েছে মহমেডান স্পোর্টিংও। তাঁকে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী দীপেন্দু বিশ্বাস। শোনা যাচ্ছে, কলকাতার তৃতীয় প্রধানের সঙ্গেও কথা হয়েছে হাঁসদার। শেষপর্যন্ত কোন দলের জার্সিতে তাঁকে দেখা যাবে সেটা দুই, একদিনের মধ্যেই জানা যাবে। তবে আইএসএলে খেলা পাকা সন্তোষের নায়কের।
মাস দুয়েক আগেও রবি হাঁসদাকে তেমনভাবে কেউ চিনত না। নিয়মিত মাঠ, ময়দান করা লোকের বাইরে তিনি ছিলেন অজ্ঞাত নাম। সন্তোষ ট্রফি রাতারাতি তাঁকে প্রচারের আলোয় নিয়ে এসেছে। ১২টি গোল করে মহম্মদ হাবিবের রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের এক প্রান্তিক কৃষক পরিবারের ছেলে। বয়স ২৫ বছর। জন্ম ১৯৯৯ সালে। টনটনে যে বছর সৌরভ গাঙ্গুলি বিশ্বকাপে অসামান্য সেঞ্চুরি করছেন। ছোট বয়স থেকেই ফুটবলে আসক্তি। কাশিপুর সরস্বতী ক্লাবের হয়ে কলকাতা মাঠে আবির্ভাব। তারপর আসোস রেনবো হয়ে বর্তমানে কাস্টমসের ফুটবলার। ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলেন। যথার্থ টিমম্যান। হাবিবের রেকর্ড ভাঙা সম্পর্কে রবি জানিয়েছিলেন, 'হাবিব স্যার অনেক বড় প্লেয়ার। তাঁর খেলা দেখিনি, শুনেছি। তাঁর মতো ফুটবলার হতে পারলে নিজেকে ধন্য বলে মনে করব।' রাতারাতি জীবন বদলে গিয়েছে রবি হাঁসদার। সন্তোষ ট্রফির আগে ভাবতে পারেননি এইভাবে আচমকা আইএসএলে খেলার সুযোগ চলে আসবে। ময়দানের ছোট ক্লাব থেকে দেশের একনম্বর লিগে খেলতে হলে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়। সেখানে তাঁর এই উত্থান স্বপ্নের মতো।
