আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৮ বছর পর সেবার দেশের মাটিতে কেটেছিল খরা। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির টিম ইন্ডিয়া ওয়াংখেড়েতে করেছিল বিশ্বজয়। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে শেহবাগ ও শচীনের উইকেট হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। দলের হাল ধরেছিলেন গৌতম গম্ভীর। একটুর জন্য শতরান পাননি। ধোনি করেছিলেন অপরাজিত ৯১। গোটা টুর্নামেন্টে রান না পেলেও ফাইনালে জ্বলে উঠেছিলেন মাহি। হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা।
সেবার যুবরাজও দুরন্ত ফর্মে ছিলেন। পেয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। তবে টুর্নামেন্টের সব ম্যাচে কিন্তু ধোনির আগে ব্যাট করতে নেমেছিলেন যুবরাজ সিং। ফাইনালটাই যা ব্যতিক্রম। প্যাড পরে বসে থাকলেও যুবির আগে নেমেছিলেন ধোনি। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৭৫ রান দরকার ছিল। ধোনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন ভারতের রান ছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৪। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ১০৯ রানের পার্টনারশিপও গড়েন ধোনি। সেটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বিশ্বকাপের অন্যান্য ম্যাচে ৪ নম্বরে নেমেছিলেন যুবরাজ। শুধু ফাইনালেই সেখানে নেমেছিলেন ধোনি। আর সেখানেই বাজিমাত।
কিন্তু কেন? এক ভক্তের প্রশ্নের জবাবে শচীন বলেন, ‘দুটো কারণ ছিল। প্রথমত ডানহাতি–বাঁহাতি কম্বিনেশনে খেললে ওদের দুই স্পিনারকে সমস্যায় ফেলা যাবে। তাছাড়া ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মুরলীথরন চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেছেন এবং এমএস (ধোনি) তিনবছর ধরে নেটে ওকে খেলেছে।’ আর সেটাই পার্থক্য গড়ে দেয়। ৭৯ বলে ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন ধোনি। আর ৬ উইকেটে জেতে ভারত। শচীনের হাতে ওঠে প্রথম বিশ্বকাপ।
আরও পড়ুন: প্রয়াত ক্রিকেটারদের পরিবারের জন্য নতুন পরিকল্পনা বিসিসিআইয়ের, জেনে নিন বিস্তারিত ...
ওই প্রশ্নোত্তর পর্বে আরও অনেক বিষয়েই উত্তর দিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। যেমন ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী রোহিত–বিরাট কারা? শচীন বলেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট নিরাপদ হাতে আছে। ইংল্যান্ডে অনেকেই ভাল খেলেছে। অনেকেই আছে যারা ঐতিহ্য বহন করতে পারবে।’ আবার জো রুটের ১৩ হাজার রান নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৩০০০ রান করা দারুণ কৃতিত্ব। ও এখনও অসাধারণ খেলছে। আমি ওকে ২০১২–য় অভিষেক টেস্টে প্রথম দেখি। আমার সতীর্থদের বলি, ও ভবিষ্যতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হবে। আমি তখনই জানতাম ও বড় প্লেয়ার হবে।’
এদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এবার নয়া উদ্যোগ। ভারতীয় ক্রিকেটারদের সংস্থার সদস্যরা প্রয়াত হলে তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। এক লক্ষ টাকা এককালীন দেবে বোর্ড। বেঙ্গালুরুতে ক্রিকেটারদের সংস্থার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। এখনও বোর্ডের সিলমোহর না পেলেও এই সুবিধা যে প্রয়াত ক্রিকেটারের পরিবারেরা পাবে, তা নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটারদের সংস্থা।
আরও পড়ুন: তারকা ক্রিকেটারকে একদিনের দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্যই কি ব্রঙ্কো টেস্ট? চাঞ্চল্যকর দাবি
জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ৫০ জন প্রয়াত ক্রিকেটারের পরিবার এই সুবিধা পাবে। ক্রিকেটারদের সংস্থা জানিয়েছে, তাদের সদস্য ছাড়া অবশ্য এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। ইতিমধ্যেই অনেক প্রয়াত ক্রিকেটারের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেছে সংস্থা। তারা বোর্ডের এই নতুন এককালীন সুবিধা আর পাবে না।
