আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে যে তাঁর বনিবনা ছিল না এ কথা কারও অজানা নয়। ঘটনার ১৭ বছর পর এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। ২০০৮ সালে বীরেন্দ্র শেহবাগ যখন ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়লেন, তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ঘটনার ১৭ বছর পর এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বীরু। তিনি জানিয়েছেন, সেই বছরেই ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। যদিও শেষমেশ শচীন তেন্ডুলকারের পরামর্শে সেই সিদ্ধান্ত নেননি বীরু।


একটি পডকাস্টে শেহবাগ বলেছেন, ‘‌২০০৭–২০০৮ সিরিজের পর আমাকে বাদ দেয় ধোনি। এরপর বেশ কিছুদিন আমাকে খেলানো হয়নি। সেই সময় মনে হয়েছিল, যদি প্রথম একাদশে সুযোগই না পাই, তাহলে ওয়ানডে খেলার কোনও মানে নেই।’‌ অবসর নেওয়ার ব্যাপারে শচীনের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে গিয়েছিলেন শেহবাগ। মাস্টার ব্লাস্টার তখন বলেছিলেন, ‘‌আমিও ১৯৯৯–২০০০ সালে একই রকম সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমারও মনে হয়েছিল, ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু সময়টা ঠিক পার হয়ে যায়। খারাপ সময় দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তাই আবেগপ্রবণ হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিও না। নিজেকে কিছুটা সময় দাও। আরও একটা–দু’টো সিরিজ খেলো। তারপর সিদ্ধান্ত নাও।’‌ 


প্রসঙ্গত, সেই বছর ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ভারতের অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও ছিল শ্রীলঙ্কা। সেই সিরিজে একেবারেই ফর্মে ছিলেন না শেহবাগ। পাঁচ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৮১ রান। গড় ১৬.২০। এরপর দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। ওই সিরিজে ১০টা ম্যাচে গৌতম গম্ভীর করেছিলেন ৪৪০ রান। শচীন করেছিলেন ৩৯৯ রান। দলে প্রত্যাবর্তনের পর শেহবাগ ২০১২ পর্যন্ত খেলেছিলেন। ধোনির সহ–অধিনায়কও হয়েছিলেন। পরে আবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন। জাতীয় দলে ফেরার পর ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।

 

আরও পড়ুন:‌ সঞ্জুকে দলে পেতে এই দুই ক্রিকেটারের এক জনকে ছেড়ে দিতে রাজি কেকেআর


উল্লেখ্য, শচীনের পরামর্শে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকেন শেহবাগ। এরপর ভারতীয় দলে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটে বীরুর। এমনকী ২০১১ বিশ্বকাপ জেতানোয় বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।

এদিকে, সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। সঞ্জু রাজস্থান রয়্যালস ছাড়তে চান। এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন ফ্রাঞ্চাইজিকে। এই খবর কানে যেতেই তাঁকে পেতে মরিয়া চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিকে, রাজস্থান চাইছে সঞ্জুকে ছাড়লে তারা চেন্নাই থেকে নেবে রুতুরাজ গায়কোয়াড় বা রবীন্দ্র জাদেজার মধ্যে এক জনকে। কিন্তু চেন্নাই ছাড়তে রাজি হবে?‌ 


আইপিএলের মিনি নিলাম এখনও বেশ কিছুটা দেরি। তার আগেই সঞ্জু স্যামসনকে দলে নিতে চাইছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাইয়ে সঞ্জুর যাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না শাহরুখ খানের দল। দুই ক্রিকেটারের নাম তৈরি রেখেছে তারা। তাঁদের এক জনকে সঞ্জুর পরিবর্তে রাজস্থানে বিক্রি করে দিতে চায় কেকেআর।