আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ব্রঙ্কো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। রোহিত ব্রঙ্কো পরীক্ষায় পাশ করায় অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ দূর হয়েছে।৩৮ বছর বয়সী হিটম্যান কেবল ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণই হননি, কোচ এবং নির্বাচকদেরও মুগ্ধ করেছেন বলেই খবর। 

৩০ এবং ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় ব্রঙ্কো টেস্ট। এই পরীক্ষা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। বলা হচ্ছিল রোহিত শর্মার মতো তারকাকে দল থেকে ছেঁটে ফেলার জন্য এই ব্রঙ্কো টেস্ট চালু করা হয়েছে। 

ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানোর জন্যই এই টেস্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার মূলে টিম ইন্ডিয়ার স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচ আদ্রিয়ান লি রু। জোর দেওয়া হচ্ছে পেসারদের ফিটনেসের ওপর। ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলতে চান বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। মনোজ তিওয়ারির মতো প্রাক্তন বাংলা ক্রিকেটার মনে করেন, এই টেস্ট দুই মহাতারকার পথ আরও কঠিন করবে। বাংলার ক্রিকেটারের দাবি, রোহিতকে ২০২৭ বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দিতেই শুরু হয়েছে ব্রঙ্কো টেস্ট। কিন্তু রোহিত পাশ করে বুঝিয়ে দিলেন, যতই তাঁর ফিটনেস নিয়ে আলোচনা হোক না কেন, তিনি এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো ফিট রয়েছেন। 

আরও পড়ুন: ফের চোটের কবলে সামি, জাতীয় দলে ফেরা ক্রমশই কঠিন হচ্ছে বঙ্গপেসারের ...

কী এই ব্রঙ্কো টেস্ট? ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস ধরে রাখতে এবার নতুন পরীক্ষা চালু করতে চলেছে বিসিসিআই। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বর্তমান ফিটনেস পরীক্ষার পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটে এবার যুক্ত হতে চলেছে রাগবি-ভিত্তিক ‘ব্রঙ্কো টেস্ট’। এই টেস্টে একাধিক শাটল রান করতে হয়—প্রথমে ২০ মিটার, তারপর ৪০ মিটার এবং শেষে ৬০ মিটার। মোট পাঁচ সেটে এই দৌড় সম্পূর্ণ করতে হয় খেলোয়াড়দের, তাও কোনও বিরতি ছাড়া। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ মিনিট। ভারতীয় দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ আড্রিয়ান লে রু এই পরীক্ষা চালুর প্রস্তাব দেন। তাঁর মতে, বিশেষ করে দ্রুতগতির বোলারদের আরও বেশি দৌড় করানো জরুরি, কারণ ফিটনেস সমস্যার জেরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দল ভুগেছে। এখনও পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের ফিটনেস পরীক্ষার তালিকায় ছিল ‘ইয়ো-ইয়ো টেস্ট’ এবং দু’কিলোমিটার টাইম ট্রায়াল।

ব্রঙ্কো টেস্ট নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ডিভিলিয়ার্স। এই টেস্টকে সবচেয়ে কঠিন ফিটনেস টেস্টের অ্যাখ্যা দেন তিনি। নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে এই টেস্ট নিয়ে খুঁটিনাটি জানান। এর মাধ্যমে অ্যারোবিক এন্ডুয়ারেন্সের পাশাপাশি রিকভারির ক্ষমতাও পরীক্ষা করা হয়। ডি'ভিলিয়ার্স বলেন, ''দল যখন আমাকে প্রথম জানায়, আমি এই টেস্ট সম্বন্ধে কিছুই জানতাম না। আমি বলি, ব্রঙ্কো টেস্ট আবার কি? ওরা আমাকে বোঝানোর পর, আমি বুঝতে পারি। ১৬ বছর বয়স থেকে আমি এটা করে আসছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা এটাকে স্প্রিন্ট রিপিট অ্যাবিলিটি টেস্ট বলি।''

আরও পড়ুন: মহিলা বিশ্বকাপের পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করল আইসিসি, হরমনপ্রীতরা জিতলে কত টাকা পাবেন জানেন?