আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ চার বছরে তৃতীয়বার। সম্ভবত এবারও আইপিএল ফাইনাল হতে চলেছে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। 


২০২২ সালে প্রথমবার আইপিএল ফাইনাল হয় আমেদাবাদে। গুজরাট হারিয়েছিল রাজস্থানকে। এরপর ২০২৩ সালের ফাইনালে চেন্নাইয়ের কাছে হেরে যায় গুজরাট। ২০২৫ এর ফাইনালও সম্ভবত হতে চলেছে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। 


এক সর্বভারতীয় ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ফাইনালের আসর বসতে চলেছে আমেদাবাদে। আর প্লে অফ হতে পারে ওয়াংখেড়েতে। যদিও বিসিসিআই সরকারিভাবে এখনও প্লে অফ ও ফাইনালের ভেন্যু ঘোষণা করেনি।


ভারত–পাক সংঘাতের আবহে এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়েছিল আইপিএল। আবার তা শুরু হবে ১৭ মে থেকে। আগের সূচি অনুযায়ী প্রথম কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর হওয়ার কথা ছিল হায়দরাবাদে। আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ইডেনে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। জোর জল্পনা আমেদাবাদে হবে ফাইনাল। প্লে অফের খেলা হতে পারে ওয়াংখেড়েতে। হায়দরাবাদ ও ইডেনকে এখন আর ভেন্যু হিসেবে ভাবা হচ্ছে না। নিরাপত্তা ও আবহাওয়া জনিত কারণেই হায়দরাবাদ ও ইডেন বাদ যাচ্ছে বলে জল্পনা।


বিসিসিআই চাইছে বড় দর্শকাসন বিশিষ্ট স্টেডিয়ামে ফাইনাল করতে। আর নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ১ লক্ষ ৩২ হাজার। আর প্রথম কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর হওয়ার জোর সম্ভাবনা মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে। তবে ওই সময় মুম্বইয়েও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে খেলা যাতে ভেস্তে না যায়, তাই প্লে অফের ম্যাচ উত্তর ভারতে করাতে পারে বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে হাতে রয়েছে দিল্লি, জয়পুর, লখনউয়ের মতো শহরগুলি। 


কলকাতার আর ইডেনে ম্যাচ নেই। বাকি দুটি ম্যাচই অ্যাওয়ে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সেকারণেই ইডেনকে আর ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়নি। হায়দরাবাদের একটি হোম ম্যাচ থাকলেও তারা প্লে অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে। তাই রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামকেও তালিকার বাইরে রাখা হয়। 
যা পরিস্থিতি তাতে ২০১৫ সালের পর ফাইনাল আয়োজনের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে ইডেনের। যদিও সরকারি সিদ্ধান্ত এখনও বাকি।