আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ১০০ টাকা জরিমানা!‌ প্রসঙ্গত, শারীরিক নির্যাতনের মামলা চলছে ক্রিকেটার পৃথ্বী শ–এর বিরুদ্ধে। যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য ভারতের ক্রিকেটারকে নির্দেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের একটি আদালত। বার বার বলার পরেও সেই নির্দেশ না মানায় ১০০ টাকা জরিমানা করা হল পৃথ্বীকে। উত্তর দেওয়ার জন্য আরও এক বার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।


দু’বছর আগে মুম্বইয়ের এক পানশালায় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন পৃথ্বী শ। তার পর সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার স্বপ্না গিল শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন পৃথ্বীর বিরুদ্ধে। গত বছর এপ্রিলে দিনদোশী সেশনস কোর্টে ফৌজদারি তদন্তের আবেদন করেন। তবে ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট পৃথ্বীর বিরুদ্ধে পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দিতে রাজি হয়নি। বরং পুলিশকে প্রাথমিক তদন্ত করতে বলা হয়।


স্বপ্নার আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য বার বার পৃথ্বীকে অনুরোধ করে সেশনস কোর্ট। শেষ শুনানিতে আদালত জানিয়েছিল, পৃথ্বীকে চূড়ান্ত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার আদালতে জানানো হয়, এখনও উত্তর দেননি পৃথ্বী। এর পরেই তাঁকে ১০০ টাকা জরিমানা করে আদালত জানায়, উত্তর দেওয়ার জন্য শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন:‌ শুধু কলার জন্যই ৩৫ লক্ষ!‌ কোথায় লাগল এত টাকার ফল, হিসেব দেখে মাথা ঘুরে গেল কর্তৃপক্ষের 


স্বপ্নার আইনজীবী আলি কাশিফ খান জানিয়েছেন, উত্তর না দিয়ে ইচ্ছা করে বিচারপ্রক্রিয়া দেরি করার চেষ্টা করছেন পৃথ্বী। আদালতকে তিনি বলেন, ‘‌সমন পাঠানো সত্ত্বেও উত্তর না দেওয়া ওঁর অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।’‌ আদালত সে কথা শুনলেও কোনও মন্তব্য করেনি।


এটা ঘটনা, ২০২৩–এর ফেব্রুয়ারিতে একটি পানশালার বাইরে স্বপ্না এবং তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল পৃথ্বী ও তাঁর বন্ধুর। সেলফি তোলা নিয়ে সেই ঝামেলা লাগে। পুলিশ প্রথমে স্বপ্নাকে গ্রেপ্তার করলেও তিন দিন পরে জামিন পান তিনি। এর পরেই পৃথ্বীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন স্বপ্না। 

এদিকে, সরকারি তহবিলের ১২ কোটি টাকা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে। যার জেরে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট বিসিসিআইকে নোটিস জারি করেছে। একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য সরকারি তহবিলের যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, তার হিসেব নিয়েই শুরু হয়েছে জলঘোলা।


মামলাকারীরা উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার অডিট রিপোর্ট তুলে ধরেছে। সংস্থার বাইরের এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টের দ্বারা তৈরি করা রিপোর্টে নাকি ৩৫ লক্ষ টাকা খরচের হিসেব দেখানো হয়েছে, ‘প্লেয়ারদের জন্য কলা কেনার খরচ।’ দেরাদুনের বাসিন্দা সঞ্জয় রাওয়াত ও আরও কয়েকজন সংস্থার ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষের হিসেবকে সামনে রেখে তদন্তের আবেদন করেছিলেন। বিচারক মনোজকুমার তিওয়ারির সিঙ্গল বেঞ্চে একাধিক শুনানি হয়।

জানা গিয়েছে, ওই রিপোর্টে নাকি দেখানো হয়েছে ৬.৪ কোটি টাকা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ব্যয় করা হয়েছে। টুর্নামেন্ট ও ট্রায়ালের জন্য ২৬.৩ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের থেকে ২২.৩ কোটি টাকা বেশি খরচ। মামলাকারীদের দাবি, শুধু খাবারের খরচ দেখিয়েই কোটি কোটি টাকার অপব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যস্তরের প্লেয়ারদের জন্য যে ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা একেবারেই বরাদ্দ হয়নি। মামলাকারীদের বক্তব্য শোনার পর আগামী শুক্রবার ফের শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট।